বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। তিনি সংক্ষেপে বাবু নামেই পরিচিত। সকলের প্রিয় এই বাবুর বিরদ্ধে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে নাম থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি সামাাজিক মাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। সেই স্ক্রিনশটে তার নাম নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। বাবু ছাড়াও যেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত অভিনয়শিল্পীদের একটি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমানোর জন্য নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হত।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে কথা বলে তোপের মুখে পড়েছেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। গত ৩ সেপ্টেম্বর বাবু ফেসবুকে লেখেন, ‘ঢালাও ভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না। একটা গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছে ফোন নম্বর থাকলেই তিনি সেই গ্রুপে যাকে খুশি যতজন খুশি অ্যাড করতে পারেন। অনেক গ্রুপ আছে সেখান থেকে চাইলেও কেউ বের হতে পারে না। যদি এডমিন তাকে ডিলিট না করে।’
গ্রুপে কখনও প্রবেশ করেননি দাবি করে ফজলুর রহমান বাবু লিখেছেন, “আলো আসবেই গ্রুপে আমি কখনো প্রবেশ করিনি বা কে কি লিখছে আমি যদি ওখানে না দেখি আমি কি করে জানবো ওখানে কি লিখছে। ঢালাও ভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না।”
এ পোস্ট করার পরে তোপের মুখে পড়েছেন এ অভিনেতা। কমেন্ট বক্সে আশিক আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনাদের হাতে বাচ্চাগুলোর রক্ত লেগে আছে দেখেন ভালো করে। হাসিনা যখন গণহত্যায় মেতে উঠলো তখন আপনারাও তার সঙ্গী হলেন! খুব সম্মানের ছিলেন আপনি এখন আপনাদের ঘৃণা করতেও ঘেন্না লাগে। হাজারের ওপরে শহিদ হয়ে যাওয়া সন্তান হারানো সব মায়ের অভিশাপগুলো নেমে আসবে আপনাদের ওপর ইনশাআল্লাহ।’
নাজমুল আহসানের ভাষ্য, ‘অনেক বেশি কষ্ট পেলাম পিও,আপনার একটি কথা মনে পড়ে দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে যে কোন ছবি নাটকে অভিনয় করা সম্ভব না।’ নবীনের নামে আরেকজনের লিখেছেন, ‘ভাই আপনাকে এরকম একটা গ্রুপে কেউ এড করেছে, আপনি দেখলেন সেখানে গণহত্যার প্ল্যান। তো, গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন না কেন?’
এদিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে সবাইকে গ্রুপে অ্যাড করা হয় যারা মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে হয়েছে। কিন্তু, ফজলুর রহমান বাবু সেই গ্রুপে কোন কিছু না লিখলেও ঢালাও ভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না।
গ্রুপে সদস্যদের তালিকায় আরও যারা ছিলেন- রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, পরিচালক গুলজার, নির্মাতা এস এ হক অলীকসহ অনেকে।