• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩০, ১২ শা'বান ১৪৪৬

সাইফ আলীকে তৈমুরের প্রশ্ন, ‘তুমি কী মরতে যাচ্ছ’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
সাইফ আলীকে তৈমুরের প্রশ্ন, ‘তুমি কী মরতে যাচ্ছ’
সাইফ আলীর সঙ্গে তৈমুর। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড স্টার সাইফ আলী খান। ১৬ জানুয়ারি অনুপ্রবেশকারীকে আটকাতে গিয়ে আহত হন অভিনেতা। এমনকি ছুরির একটা অংশ গেঁথে যায় তাঁর মেরুদণ্ডের পাশে।
যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হয়। ঘাড়েও চোট পান তিনি। এ ঘটনার পর পাঁচ দিন হাসপাতালে কেটেছে সাইফের। বাড়ি ফেরার পর গত সপ্তাহে একটি সিনেমার প্রচারে হাজির হয়েছিলেন, তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেননি। অবশেষে আলোচিত সেই ঘটনা নিয়ে বোম্বে টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেতা।

সাইফ জানিয়েছেন, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আহত হওয়ার পর তার কুর্তা রক্তে ভেসে গিয়েছিল। সাইফের স্ত্রী কারিনা ও দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ নিচে নেমে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটো বা ক্যাব খোঁজার চেষ্টা করেন।

সাইফের ভাষ্য, ‘আমি বললাম, ব্যথা লাগছে। পিঠেও সমস্যা হচ্ছে। ও (কারিনা) বলল, “তুমি হাসপাতালে যাও, আমি ছেলেদের নিয়ে বোনের (কারিশমা) বাড়ি চলে যাব।” ও পাগলের মতো ফোন করছে একে–ওকে। কেউ ফোন তুলছিল না। এরপর ও অসহায়ের মতো তাকায় আমার দিকে। আমি শান্ত করতে বলি, আমি ভালো আছি। আমি মরব না। এরপর তৈমুরও আমাকে প্রশ্ন করে, “তুমি কি মরতে যাচ্ছ?” আমি ওকেও বলি, না।’
প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে সাইফের বড় ছেলে ইব্রাহিম তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, আহত সাইফের সঙ্গে আসে আট বছরের তৈমুর।

এ প্রসঙ্গে সাইফ বলেন, ‘ও (তৈমুর) ভীষণ ঠান্ডা মাথায় ছিল। আমাকে বলল, “আমি তোমার সঙ্গে আসছি।” আমারও তখন মনে একটা ভয় কাজ করছিল, যদি কিছু হয়ে যায়…ওকে দেখে আসলে খুব শান্তি লাগছিল। আমিও একা হাসপাতালে যেতে চাইনি। আমার স্ত্রী জেনেই ওকে সঙ্গে পাঠিয়েছিল, ও কী করতে পারে। আমার তখন ভালো লাগছিল যে তৈমুর সঙ্গে যাচ্ছে। মনে হচ্ছিল সৃষ্টিকর্তা না করুন যদি কিছু হয়ে যায়…ও তো সঙ্গে থাকবে। আর ও নিজেও সেটা চাইছে। তখন আমরা তিনজনই হাসপাতালে চলে যাই, আমি, তৈমুর আর হরি, অটোয় চেপে।’

হামলার দিনই অভিনেতার দুটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। চিকিৎসকের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার জানিয়েছেন, তার শরীরে ছয়টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যার মধ্যে দুটি আঘাত গভীর। ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সাইফ। চলতি মাসের শুরুর দিকে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার একটি অনুষ্ঠানে প্রথম আসেন জনসমক্ষে। গলায় ব্যান্ডেজ ও হাতে কাস্ট নিয়েই মঞ্চে উঠে সাইফ ‘জুয়েল থিফ’-এর প্রচার করেন।

Link copied!