সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীন বিসিএসের ক্যাডার এবং নন–ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক যে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, তাদের একজন পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আবেদ আলী। এই আবেদ আলীর সূত্রেই সামনে আসে ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের নাম।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পিএসসির আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন। ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তিনি বরখাস্ত হন। পরে তাঁকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।”
ড. মোহাম্মদ সাদিকের এই সাক্ষাৎকারের পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে যে, ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের চেয়ারম্যান থাকাকালে অনুষ্ঠিত ২৪ তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তার ছেলে সংগীতশিল্পী তাহসান খান। পরে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় আবারও বিসিএসের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাইভায় বাদ পড়ে যান তাহসান।
অন্তত দুটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণ এবং বেশ কয়েকটি নিউজ পোর্টালে এ নিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়।
এ নিয়ে চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খান। গণমাধ্যমে তাহসান বলেছেন, “পুরো বিষয়টিই ভুয়া। আমি কখনোই বিসিএস পরীক্ষা দিইনি। সুতরাং ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।”
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, ড. জিনাতুন নেসা ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন চেয়ারম্যান থাকাকালীন গাড়িচালক ছিলেন আবেদ আলী। পরবর্তীতে তিনি বরখাস্ত হন।
এ বিষয়ে তাহসান বলেন, “এখানে একটা ভুল হচ্ছে। এই ড্রাইভার অফিসের অন্যান্য ড্রাইভারদের মতোই একজন। তিনি আমার মায়ের ড্রাইভার নন।”