• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩০, ৬ রজব ১৪৪৬

বগুড়ায় সাত দিনের জন্য ‘সাঁতাও’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম
বগুড়ায় সাত দিনের জন্য ‘সাঁতাও’

গণ-অর্থায়নে নির্মিত সিনেমা ‘সাঁতাও’। নানা সংকটের মধ্য দিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন খন্দকার সুমন। এরপর মুক্তি নিয়েও পোহাতে হয়েছে বঞ্চনা, সংগ্রাম। নিরাশার মাঝে আশা হয়ে আসে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ সেরা ছবির পুরস্কার। এর সঙ্গে ছবিটির ভাগ্যের চাকা ঘোরে।

গেলো ২৭ জানুয়ারি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরের পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘সাঁতাও’। কিন্তু কোনো হলে এক সপ্তাহ, কোথাও থেকে দুই সপ্তাহেই নেমে যায় ছবিটি। এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন নির্মাতা। তাই সিদ্ধান্ত নেন, দর্শকের চাহিদা অনুসারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজ উদ্যোগেই ছবি প্রদর্শনী করবেন।

এর মধ্যে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সুখবর দিলেন সুমন। জানালেন, এক সপ্তাহের জন্য বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘সাঁতাও’। অর্থাৎ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বগুড়াবাসী ছবিটি দেখার সুযোগ পাবেন।

এই সিনেমা হলে প্রতিদিন ‘সাঁতাও’র চারটি শো প্রদর্শিত হবে। সময়সূচি হলো- বেলা ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯ টা।

একে এটি গণ-মানুষের অর্থে বানানো ছবি, আবার এর প্রচারণার কাজেও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছেন নির্মাতা সুমন ও তার দল। ব্যতিক্রম হচ্ছে না বগুড়া সফরেও। খন্দকার সুমন বলেন, ‘বগুড়ায় পুণ্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদের কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন আমাদের ছবিটির জন্য। প্রচারণা ছাড়াও তারা একেবারে হাতে টিকিট নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে বিক্রি করছেন। আমাদের কোনও শিল্পী-কুশলীর রক্তের আত্মীয় নন তারা। তবুও তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন। এই সম্পর্ক কেবল সিনেমা দিয়েই হয়েছে।’

এদিকে বগুড়াবাসীর জন্য একটি অফারও দিয়েছেন ‘সাঁতাও’ নির্মাতা। তার দাবি, ছবিটি দেখার পর যদি কোনও দর্শকের মনে হয়, ভালো লাগেনি বা এটি পয়সা উসুল সিনেমা না, তাহলে তার টিকিট মূল্য ফেরত দেওয়া হবে। এই অফার ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

রংপুর অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের সংগ্রামী জীবন ও মাতৃত্বের সার্বজনীন রূপ তুলে ধরা হয়েছে ‘সাঁতাও’ সিনেমায়। এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুল হক ও আইনুন পুতুল।

 

Link copied!