মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফট তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় কনসার্ট ট্যুর শেষ করলেন অস্ট্রেলিয়ায়।
২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চার দিনব্যাপী কনসার্ট হয়েছে সিডনির অ্যাকর স্টেডিয়ামে। সঙ্গে অতিথিশিল্পী হিসেবে ছিলেন আরেক জনপ্রিয় গায়িকা সাবরিনা কারপেন্টার। টিকিটের আনুষ্ঠানিক দাম ছিল সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার বেশি। সুইফটের কনসার্ট নিয়ে সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
সুইফটের গানের আয়োজনে টিকিটের পাশাপাশি টি-শার্ট, হুডি, ব্রেসলেট, টুপি, পানির বোতল—এসবও বিক্রি হয় প্রচুর। এ সময় বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীর আলোচনার একটা অংশ সুইফটের কনসার্টের টিকিট পেল কি না, এ নিয়ে। সিডনির সুইফট–ভক্তদের মধ্যে রয়েছেন সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশিরাও। দেশটির শীর্ষ সব পত্রপত্রিকায়ও ছিল ইরাস ট্যুর নিয়ে প্রতিবেদন। কনসার্টে কী পরে যেতে হবে, ভিড় সামলানোর কৌশল—এমন লেখালেখিতে ভরপুর ছিল সংবাদমাধ্যম।
মেগাস্টার টেইলর সুইফটের ভক্তদের উপস্থিতিতে গত এক সপ্তাহ মেলবোর্ন ও সিডনির সব হোটেল, নাইটক্লাব, ট্রেনস্টেশন ও ফেরিঘাট জমজমাট ছিল।
এই ট্যুরে সুইফটের আয় হবে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি। তার ভক্তদের মাথাপিছু খরচ প্রায় ১ হাজার ৩০০ ডলার। বর্তমানে টেইলর সুইফট ১১০ কোটি ডলারের মালিক।
টেইলর সুইফট ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার মূল্যের নিজস্ব জেট বিমান নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে এসেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ কোটি ডলার মূল্যমানের ৮টি প্রাসাদের মালিক টেইলর সুইফট অস্ট্রেলিয়ায় কোথায় থাকবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনায় মেতেছেন তার অনুরাগীরা।
জানা গেছে, তিনি ছিলেন ক্রাউন হোটেল টাওয়ারের প্রেসিডেন্ট ভিলাতে। যার প্রতি রাতের ভাড়া ৩৮ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি)।
সিডনির অলিম্পিক পার্কের স্টেডিয়ামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে এই পপ তারকা বলেন, “আপনি এখানে এসে আমাকে অনুভব করছেন যে আমিই প্রথম শিল্পী যিনি সিডনির অ্যাকর স্টেডিয়ামে চারটি শো করলাম।”