কয়েকদিন আগে ওয়েব সিরিজ `আরিয়া`-র সেটে শুটিং করতে গিয়ে বুকে অস্বস্তি বোধ করেন সুস্মিতা সেন। সময় নষ্ট না করে মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
সেখানকার কার্ডিওলজিস্টরা তাকে পরীক্ষা করে দেখতে পান, ৯৫ ভাগ ধমনীর ব্লকেজ রয়েছে সুস্মিতার।
সঙ্গে সঙ্গে তারা সুস্মিতার এনজিওপ্লাস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ৪৭ বছর বয়স্ক এই বলিউড অভিনেত্রীকে দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। আপাতত সুস্মিতাকে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।
বাড়িতে বসেই সুস্মিতা তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, "আমি জানি এরপর আমার অনুরাগীদের অনেকেই হয়তো আর জিমে যাবেন না। কেননা তারা বলবেন ওই দেখুন, জিমে যাওয়া সত্ত্বেও সুস্মিতা সেনের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। কিন্তু আপনারা বিশ্বাস করুন জিমে যাওয়াটাই আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। আমি অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছি। আমি নিজে জিমে গিয়ে নিজেকে সক্রিয় রেখেছিলাম বলে এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম।"
সুস্মিতা সেনের হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। স্টেন্ট বসানোর পর সাধারণত এই ধরণের রোগীদের সেরে উঠতে সময় লাগে তিন মাস থেকে বারো মাস। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে সুস্মিতা জীবনযাত্রাকে সুসংহত রেখে এগিয়ে চলার বার্তা দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নারীদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, "আপনারা ভাববেন না যে হার্ট অ্যাটাক শুধুমাত্র পুরুষদের বেশি হয়। এই রোগ শুধুমাত্র পুরুষদের নয়, সেইসঙ্গে আপনাদের জানাই এটা নিয়ে ভয় পাওয়ারও কিছু তেমন কিছু নেই। যদি আপনি আপনার জীবনে সতর্ক থাকেন সুসংহত জীবনযাত্রাকে মেনে চলেন। বিপদের হাত থেকে এ জীবনে নতুন করে ফিরে আসার পর আপনাদের আরো বেশি মনের দিক থেকে শক্তিশালী হতে হবে।"
মুম্বইয়ে মেয়ের হার্টঅ্যাটাক হওয়ার খবর শুনে সুস্মিতার বাবা সুবীর সেন মেয়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তিনি তার বার্তায় লিখেছেন, "নিজের হৃদয়কে খুশি ও সাহসী করে রেখো। যাতে প্রয়োজন মতো তুমি তাকে ব্যবহার করতে পারো।"