বলিউডে ২০০ কোটি রুপির আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় জ্যাকুলিনের সঙ্গে জড়িয়েছে নোরা ফাতেহির নামও। রীতিমতো দুই নায়িকার মধ্যে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব। কারণ দুজনের সঙ্গেই বেশ সখ্যতা ছিল সুকেশ চন্দ্র শেখরের। তবে এতদিন মুখে কুলুপ আঁটলেও সম্প্রতি মুখ খুলেছেন তিনি।
বর্তমানে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় জেলে রয়েছেন সুকেশ। সেখান থেকেই লেখা এক চিঠিতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি।
সুকেশ ওই চিঠিতে লিখেছেন, “জ্যাকুলিন আমার কাছে কখনও কিছু চায়নি, যা দিয়েছি ওকে ভালোবেসে আমিই সব দিয়েছি। আর ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ সম্পর্কে কিছুই জানত না ও।”
তবে কিছুদিন আগে জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে নোরা যে সম্মানহানি ও অভিনেত্রীর কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার জন্যই এই মামলায় তার নাম জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেই সঙ্গে ইডির কাছে নোরা যে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন সেই দুটি আলাদা। এর পেছনে অবশ্যই নোরার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে, তাই সে পুরো বিষয়টি ম্যানিপুলেট করতে চাইছেন তিনি।
সুকেশ আরও বলেন, “নোরা জ্যাকুলিনকে অনেক হিংসা করতেন। তিনি সবসময় জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে আমার ব্রেনওয়াশ করার চেষ্টা করতেন। জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে তার সঙ্গে থাকার কথা বলতেন।”
তিনি লেখেন, “নোরা নিজের গাড়িটি পরিবর্তন করার জন্য অনেক মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। আমিই ওকে গাড়ি কিনে দিয়েছি। ইতোমধ্যে সেই চ্যাটের সব স্ক্রিনশট আমি ইডিকে প্রমাণ হিসাবে পাঠিয়েছি। ওকে রেঞ্জ রোভার কিনে দেওয়ার কথা থাকলেও পরে বিএমডাব্লিউ ফাইভ সিরিজ কিনে দেওয়া হয়। কারণ ওর তখন খুব তাড়া ছিল গাড়ির। তবে ওই গাড়িটি নিজের নামে না নিয়ে ওর বন্ধুর বর ববি খানের নামে রেজিস্টার করেন নোরা।”
সুকেশের দাবি করছেন, তিনি কখনও প্রফেশনাল লেনদেন করেননি নোরার সঙ্গে। শুধু একটি ইভেন্টের জন্য অভিনেত্রীকে একবার অফিসিয়াল পেমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “জ্যাকুলিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকায় আমি সবসময় নোরাকে এড়িয়ে চলতাম। এমনকি ববির মিউজিক কোম্পানি তৈরিতেও আমার কাছে সাহায্য চেয়েছিল নোরা। আমি টাকাও দিয়েছিলাম। এ ছাড়াও নোরা বিভিন্ন সময়ে যা চেয়েছে, সবই কিনে দিয়েছি আমি।”