• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হঠাৎ যে কারণে পোড়ানো হলো সালমান-সেলিমের কুশপুত্তলিকা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
হঠাৎ যে কারণে পোড়ানো হলো সালমান-সেলিমের কুশপুত্তলিকা
সালমান খান, সেলিম খান। ছবি: সংগৃহীত

কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় ফের ক্ষুব্ধ কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টিম। যতক্ষণ না কৃষ্ণসার হত্যার জন্য ক্ষমা না চাইছেন, ততক্ষণ রেহাই নেই সালমান ও তার পরিবারের। যদিও সালমানকে নির্দোষ দাবী করেছেন সালমানের বাবা সেলিম খান। 

ভাইরাল হওয়া সেই বক্তব্য শুনে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে সালমান ও সেলিম খানের কুশপুত্তলিকা পোড়ালেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়।

গণমাধ্যমে সালমানের বাবা সেলিম খান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সালমান কখনো আরশোলাও মারেননি, কী করে এত বড় একটা পশু হত্যা করবে? সালমান কোনো অন্যায় করেননি, তাহলে কেন ক্ষমা চাইবে? সেলিমের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে ক্ষেপে যায় বিষ্ণোইরা। শনিবার এই সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ জয়পুরে জড়ো হয়ে সেলিম খানের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং বাপ-বেটার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন।

এই সম্প্রদায়ের কথা, ‘আমরা বিষ্ণোই, আমরা কাউকে এভাবে মানহানি করি না। ২৬ বছর আগে যখন মামলা করা হয়েছিল, তখন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের তৎকালীন বিধায়ক সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সেলিম খান মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। সেলিম খানের বিবৃতিতে আমাদের সম্প্রদায় আঘাত পেয়েছে। আমরা কৃষ্ণসার মামলার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবো’

১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে দুইটি কৃষ্ণ বা কালো হরিণকে গুলি করে শিকার করেন সালমান। এর ঠিক ১২ দিন পর ২৮ সেপ্টেম্বরে ঘোডা এলাকার একটি ফার্মে আরেকটি কৃষ্ণহরিণ শিকার করেন অভিনেতা। বিলুপ্ত প্রজাতির এ হরিণ বিষ্ণোই ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। তারা মনে করেন, হিন্দুদের বিষ্ণোই গোত্রের প্রবক্তা ভগবান জাম্বেশ্বরের পুনরুত্থানের প্রতীক কৃষ্ণহরিণ। বিষ্ণোই গ্যাং তাই ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্টের কারণ দেখিয়ে সালমানকে হত্যা করতে চাইছে।

Link copied!