কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণপিটুনিতে মারা গেছেন তরুণ চিত্রনায়ক শান্ত খান। জানা গেছে, সোমবার (৫ আগস্ট) চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় গণপিটুনিতে মারা গেছেন তরুন এ অভিনেতা। তার মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা কৌশানী মুখার্জি। ‘পিয়া রে’ সিনেমায় শান্তর নায়িকা ছিলেন কৌশানী। যদিও সিনেমাটি এখনও মুক্তি পায়নি। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে কৌশানী বলেন, ‘আমি স্তম্ভিতি, বিশ্বাস করতে পারছি না সত্যিই এটা হয়েছে’।
শান্ত’র বাবা সিনেমার আলোচিত প্রযোজক সেলিম খান। শাকিব খানের একাধিক সিনেমার প্রযোজক ‘বালুখেকো’ সেলিম খান। শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার তিনি। বছর দুয়েক আগে হাসিনার আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘প্রেম চোর’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে ডেবিউ হয় শান্ত খানের। সেলিমের প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্র ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’–তে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছেলে শান্ত খান। ওপার বাংলার শ্রাবন্তীর বিক্ষোভ সিনেমার নায়ক ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শান্ত’র বাবা সেলিম খান চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হন, এই মামলায় জেলেও যান তিনি।
সোমবার চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পড়েন সেলিম ও তাঁর পুত্র শান্ত। সেখানে পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে সাময়িক প্রাণে বাঁচলেও খানিক দূর যেতেই ফের একদল উত্তপ্ত জনতার মুখে পড়েন দুজনে। চাঁদপুরের বাগাড়া বাজারে জনতার পিটুনিতে নিহত হন সেলিম খান ও তাঁর ছেলে শান্ত খান।
শান্ত খানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার শ্বশুর এম আই মমিন খান। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা বাবা-ছেলেকে মেরে লাশ রাস্তায় ফেলে রেখেছে তা জানা যায়নি। পুলিশ এই ব্যাপারে খবর পেলেও এখনও জানমালের ভয়ে চাঁদপুরে প্রবেশ করতে পারেনি।