চারুকলার পড়াশোনা আমাকে অভিনয়ে সাহায্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী নিদ্রা নেহা। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাওয়া ‘আন্তঃনগর’ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।
নিদ্রা বলেন, “পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ সামাল দেওয়া মুশকিল। চারুকলায় প্রতি সপ্তাহেই প্রজেক্ট জমা দিতে হয়। তবে চারুকলার পড়াশোনা আমাকে অভিনয়ে সাহায্য করেছে। আমরা পার্সপেকটিভ, লাইট নিয়ে পড়েছি। এসব আমাকে ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল, লাইট, শ্যাডো বুঝতে সাহায্য করে।”
‘আন্তঃনগর’ প্রসঙ্গে নবাগত এই অভিনেত্রী বলেন, “খুবই ভালো। প্রথম সিনেমা নিয়ে অন্য রকম একটা উত্তেজনা ছিল। একটু অস্বস্তিতে ছিলাম খুনের দৃশ্য নিয়ে, শুটিংয়ের দ্বিতীয় কিস্তি শুরুই হয় এটি দিয়ে। বিজ্ঞাপনচিত্রে তো বেশির ভাগ সময়ই হাস্যোজ্জ্বল থাকতে হয়েছে, অল্প সময়ে অভিনয়ের খুব একটা সুযোগ থাকত না। অডিশনের সময় পরিচালককে বলেছিলাম, আমি দৃশ্যটি পারব কি না। উনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘যেহেতু নিচ্ছি, আমার ওপর সেই ভরসা রাখতে হবে।’ সবচেয়ে ভালো লেগেছে, পরিচালক সেভাবে চাপ দেন না। শটের আগে বলেন, ‘তুই তোর মতো কর।’ আমার দৃশ্যগুলোয় থাকা সহশিল্পীদের মধ্যে প্রান্তর দস্তিদার, জয়রাজদা সবাই সহযোগিতা করেছেন।”
প্রথম অভিনীত কাজে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিদ্রা বলেন, “ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। গত শুক্রবার ছবির প্রচারে একটা ইভেন্টে গিয়েছিলাম। সেখানেও একজন বললেন যে আমার কাজ ভালো লেগেছে। নতুন হিসেবে অভিনয় নিয়ে ভয় বা জড়তা ছিল, কিন্তু অনেকের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় মনে হচ্ছে, হয়তো বা দর্শককে ভালো কিছু দিতে পেরেছি।”
অভিনয়ে আসার আগে বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এই অভিনেত্রী বলেন, “সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। তবে চেষ্টা করতাম, আগে মুক্তি পাওয়া কাজগুলোয় (বিজ্ঞাপনচিত্র) নিজের দুর্বলতা বিশ্লেষণ করতে। আগের কাজের চেয়ে সব সময় ভালো করতে চেয়েছি। এভাবে এগোতে এগোতে একটা সময় মনে হলো, আমি প্রস্তুত।”
আগামীতে কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পিকলু চৌধুরী, সুমন ধরের দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছি। একটি সরকারি অনুদানের, অন্যটি চ্যানেল আইয়ের। চলতি বছরই এগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা।”