নিজের ক্যারিয়ারের নিয়ে ভীষণ হিসেবী বাঁধন। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই হিসেব গুণেই এগুচ্ছেন তিনি। গণমাধ্যমে দেয়া একাধিক সাক্ষাৎকারে বাঁধন জানিয়েছিলেন, নারীকেন্দ্রীক গল্প হলে অবশ্যই সেই মুভি করতে চান। তাই প্রত্যাশা অনুযায়ী ছবিতেই তিনি ফিরলেন।
ভালোবাসা দিবসের পর শহরে একে একে তিনজন নারী খুন। তাদের সবাইকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। এরপরই পর্দায় এন্ট্রি পুলিশ অফিসার লিনার। এরকম জটিল ও রহস্যমণ্ডিত মামলার ভার সাধারণত ঝানু কর্মকর্তার হাতে পড়ে। ওদিকে লিনার চোখে মুখে তীব্র শীতলতা। যা নাকি বিষধর সাপের মতোই মারাত্মক। দেখে বোঝা যায় খুনীকে পাকড়াও করতে লীনার মতো ঝানু পুলিশ কমই আছে।
গল্পটি মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘এশা মার্ডার’র টিজারের। এক মিনিট চার সেকেন্ডের টিজারের শুরু থেকে শেষ অবধি এরপরই একের পর এক রহস্য। আর সে রহস্য উদঘাটনে লিনারূপী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের মারমুখী চেহারা।
বরাবরই গল্পের নায়ক থাকেন বাঁধন। তাকে ঘিরে আবর্তিত হয় কাহিনি। ‘এশা মার্ডার’র পূর্বাভাসও আভাস দিল এ সিনেমার নায়ক বাঁধন। টিজারে এ অভিনেত্রীর এন্ট্রি দৃশ্য যেন তাতে সীলমোহর দিল।
এদিকে উপমহাদেশের সিনেমাগুলোতে এমন মারমুখী এন্ট্রি দৃশ্যে সাধারণত নায়কদের দেখা যায়। নায়িকাদের জন্য বরাদ্দ থাকে সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়ানোর মতো কিছু দৃশ্য। ওই জায়গা থেকে বলা যায় ছবিটি দিয়ে গতানুগতিক ধারণা বদলে দিতে আসছেন বাঁধন।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘এশা মার্ডার :কর্মফল’ সিনেমার টিজার। সত্য ঘটনা অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন সানী সানোয়ার। ট্রেলার শেয়ার দিয়ে সানি সানোয়ার লিখেছেন, ‘বাঁধন কি পারবে এশা খুনের রহস্যভেদ করতে?’
কোরবানি ঈদে প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘এশা মার্ডার :কর্মফল’। বাঁধন ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন পূজা ক্রুজ, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ প্রমুখ।