সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত সম্প্রতি মুক্তি ‘বরবাদ’ টিজার নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনার ঝড় বইছে। দেশের ফিল্ম ক্রিটিকসদের সঙ্গে কলকাতা, মুম্বাই, তামিল, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, তুর্কি, আফ্রিকাসহ অনেক দেশের ফিল্ম ক্রিটিকসরা প্রকাশিত টিজারটি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মতামত দিচ্ছেন।
সেই সব ঘেঁটে দেখা যায়, তারা শাহরুখ, সালমানদের পাশাপাশি এখন শাকিবকে নিয়েও আলোচনা করছেন। গেল কয়েকবছর ধরে তারা শাকিবের লুক, টিজার এবং গান এলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে রিভিউ দিচ্ছেন। তুফানের পর এবার ‘বরবাদ’ এর টিজার প্রকাশেও ইউটিউবে প্রায় আড়াই শ’ কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের চ্যানেল থেকে রিভিউ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে এতো আলোচনা রীতিমত বিস্ময়কর। এও দেখা গেছে, একইসঙ্গে প্রকাশিত সালমান খানের ‘সিকান্দার’ সঙ্গে শাকিবের ‘বরবাদ’ টিজার তুলনা করা হয়েছে।
বাংলা ভাষা না বুঝলেও সেইসব ভিনদেশী কনটেন্ট ক্রিয়েটররা শাকিবের এক্সপ্রেশন, অ্যাকশন, স্টাইল নিয়ে প্রশংসা করছেন। পাশাপাশি পরবর্তী কনটেন্টে ইংরেজি সাবটাইটেল রাখার অনুরোধ করছেন এবং বাংলাদেশের এসব সিনেমার মান বিশ্বমানের বলে আলোচনা করছেন।
আপাতদৃষ্টিতে বৈশ্বিক এই ভার্চুয়াল প্রতিক্রিয়াকে সামান্য মনে হলেও এর সুদূর প্রসারী প্রভাবের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বহু সিনেমা চিন্তক। তারা মনে করছেন, বাংলা সিনেমার জন্য এসব কর্মকাণ্ড সুফল ই বয়ে আনবে।
বিশেষ করে যারা সিনেমা বাণিজ্য ও বিপননের সাথে জড়িত, তারা বলছেন- অদূর ভবিষ্যতে বাংলা ছবির বাজার বড় করতে ভিনদেশি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের এমন আগ্রহ হতে পারে কল্যাণকর। তবে শুধু শাকিব একা নন, বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক পরিসরে ছড়িয়ে দিতে আরো অনেককে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন ছবির সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদও দেন অনেকে।
টিজার প্রকাশ করে দেশ-বিদেশে হইচই ফেলে দেয়া শাকিবের ‘বরবাদ’ মুক্তি পাচ্ছে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। এটি নির্মাণ করেছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। এটি নির্মাতার প্রথম ছবি।
টিজারে শাকিবের লুক ও অ্যাকশন সোয়াগে বুঁদ হয়ে দর্শকরা বলিউড এবং ভারতের সাউথের সিনেমার স্বাদ পেয়েছেন! পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন ‘বরবাদ’ নিয়ে।
আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর হলগুলো দর্শক খরায় ভুগছে। ‘বরবাদ’ দিয়ে ঈদে আবারও সিনেপ্লেক্স, মাল্টিপ্লেক্স থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিন জেগে উঠতে পারে। রিয়েল এনার্জি প্রডাকশনের ব্যানারে এই সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ইধিকা পাল, যীশু সেনগুপ্ত।