• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচনী পোস্টার-বিলবোর্ডে সয়লাব এফডিসি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
নির্বাচনী পোস্টার-বিলবোর্ডে সয়লাব এফডিসি
ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনি বিলবোর্ডে আর পোস্টার এফডিসিতে। ছবি: সংবাদ প্রকাশ

কোথাও শুটিংয়ের আবহ দৃশ্যমান না হলেও ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনী বিলবোর্ডে আর পোস্টারে সয়লাব এফডিসি। 

সিনেমার আঁতুড়ঘর বলা হতো এফডিসিকে। নায়ক-নায়িকা কিংবা সিনেমার শুটিং দেখার দারুণ সব অভিজ্ঞতার গল্প ছড়িয়েছে মানুষের মুখে মুখে! এফডিসি নিয়ে মানুষের সেই সব ফ্যান্টাসি এখন শুধু অতীত গল্পেই টিকে আছে!

যে এফডিসি শুটিং ও তারকায় মুখরিত হতো প্রতিদিন, সেখানে এখন বছরে হাতে গোনা কয়েকবার জমজমাট হয়ে ওঠে।  তবে সেটা শুটিংয়ের কারণে নয়, বরং এফডিসিকেন্দ্রিক বিভিন্ন সমিতি-সংগঠনের নির্বাচনী আমেজের কারণে!

খুব শিগগির সেখানে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। কবে হবে নির্বাচন, কারা প্রার্থী হচ্ছেন, এ বিষয়ে এখনো চলছে নানান কানাঘুষা! তবে শিল্পী সমিতির আগেই এফডিসিতে আরো একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আসছে শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনটি বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেড এর।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এফডিসির কোথাও শুটিংয়ের আবহ দৃশ্যমান না হলেও পুরো এফডিসি ছেয়ে আছে ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার, বিলবোর্ডে।

এফডিসির প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই আগে দেখা যেত আসন্ন কোনো সিনেমার বিশালাকার ব্যানার কিংবা পোস্টার। বিকেলে মূল ফটক থেকে একটু সামনে এক কোনায় মুক্তি প্রতীক্ষিত আসন্ন ছবি ‘ছায়াবৃক্ষ’র একটা পোস্টার চোখে পড়লেও পুরো চত্বর ছেয়ে আছে ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনে অংশ নেয়া বিভিন্ন প্রার্থীদের পোস্টারে!

‘এফডিসির যে কোনো নির্বাচন নিয়ে যে প্রচারণা চোখে পড়ে, সিনেমা নিয়ে কেন এফডিসির মানুষ এতো সরব হন না?’ পাশ থেকে এক সহকর্মী সংবাদকর্মী এমন প্রশ্নই করলেন। কৌতূহলবশত অন্য আরেক সহকর্মী জানতে চাইলেন, ‘চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কাজে বিগত কয়েক বছরে ফিল্ম ক্লাব সংগঠনটির সম্পৃক্ততা কী, শুধু নির্বাচন আসলেই ক্লাবটির নাম শোনা যায় কেন।’

এমন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য যোগ্য মানুষটি কে, এ নিয়ে আলাপের এক পর্যায়ে এফডিসির নিয়মিত কয়েকজনের সঙ্গে দেখা হয়। তারা জানালেন, এখনতো শুটিং নেই। শুধু একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নামে বরাদ্দকৃত ফ্লোরে সেট নির্মাণের কাজ হচ্ছে, সেখানে হবে বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান।

পুরো এফডিসি চত্বর ঘুরেও কোথাও শুটিংয়ের অস্তিত্ব টের পাওয়া গেল না। ক্যান্টিনের একজন জানালেন, জানুয়ারিতে ‘রাজকুমার’ এবং ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামের দুটি ছবির শুটিং হয়েছে। সে সময় বেশ জমজমাট ছিল এফডিসি। শুটিং না থাকলে কেমন মরামরা লাগে!

এখনকার নির্মাতাদের এফডিসির প্রতি অনীহা কেন, তারা কেন এখানে শুটিং করতে আসেন না? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, লোকেশন রেন্ট বেশি হওয়ায় এফডিসিতে শুটিং করতে চায় না প্রায়ই কেউ। তার ওপর ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়াও এখানে এসে শুটিং না করতে চাওয়া অন্যতম কারণ। আর এ কারণেই সুযোগ পেয়ে বসেছে এফডিসির নানা সংগঠন।

Link copied!