• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩০, ২৪ রমজান ১৪৪৬

শাহনাজ রহমতুল্লাহর চলে যাওয়ার ছয় বছর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
শাহনাজ রহমতুল্লাহর চলে যাওয়ার ছয় বছর
প্রায়াত সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী  শাহনাজ রহমতুল্লাহর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী রোববার ২৩ মার্চ। ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ মারা যান জনপ্রিয় এই গায়িকা।

বাংলা গানের অন্যতম সফল ও সেরা শিল্পী হিসেবে দেখা হয় শাহনাজ রহমতুল্লাহকে। তার কণ্ঠে অসংখ্য গান শ্রোতা-মনে স্থায়ী জায়গা দখল করে নিয়েছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে গেছে তার সুরের আবেদন।

পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে গান করেছেন । তার গাওয়া কালজয়ী গানের তালিকায় আছে- ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে‌ এবার বল’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’-এর মতো দেশাত্মবোধক গান। এছাড়া আধুনিক গানেও তার বিপুল সাফল্য। ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘হারানো দিনের মতো হারিয়ে গেছো তুমি’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘খোলা জানালা’, ‘পারি না ভুলে যেতে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’ ইত্যাদি গানের সুরেলা কণ্ঠটি তারই।

শাহনাজ রহমতুল্লাহর জন্ম ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায়। তার এক ভাই বিখ্যাত সংগীত পরিচালক আনোয়ার পারভেজ এবং আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন তুমুল জনপ্রিয় নায়ক-গায়ক।

ছোটবেলাতেই গানে হাতেখড়ি হয় শাহনাজ রহমতুল্লাহর। ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন উচ্চাঙ্গসংগীতের তালিম। এরপর তিনি ওস্তাদ মনির হোসেন, শহীদ আলতাফ মাহমুদের কাছেও গানে তালিম নেন তিনি। এছাড়া উপমহাদেশের কিংবদন্তি গজলসম্রাট মেহেদী হাসানের কাছ থেকে গজল শেখার সুযোগ হয়েছিল তার।

মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্লেব্যাকে অভিষেক ঘটে শাহনাজ রহমতুল্লাহর। ১৯৬৩ সালের ‘নতুন সুর’ সিনেমায় প্রথম কণ্ঠ দেন। এর পরের বছর থেকে বিটিভির নিয়মিত শিল্পী হয়ে ওঠেন। পাশাপাশি চলে সিনেমার গান। এছাড়া লম্বা ক্যারিয়ারে তিনি চারটি একক অ্যালবামও করেছিলেন।

সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯২ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। এছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছিলেন তিনি।

Link copied!