কালজয়ী অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাককে হারানোর ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৭ সালের এই দিনে ৭৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নায়করাজকে স্মরণ করেছেন সাধারণ ভক্ত অনুরাগী থেকে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট মানুষেরাও। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ভার্চুয়াল গ্রুপগুলোতে নায়করাজের সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
নায়করাজ একাধারে ছিলেন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। দুই বাংলাতেই তিনি পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে দীর্ঘ সাড়ে ছয় দশক এই জনপ্রিয় অভিনেতা দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে বড় এক শূন্যতা তৈরি হয়। চলচ্চিত্রে যাদের অবস্থান তৈরি হয়েছিল মেধা, মনন ও শ্রমে, নায়করাজ ছিলেন তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। দেখতে দেখতে কেটে গেল নায়করাজহীন ছয় বছর।
নায়করাজের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদস্যরা নায়করাজের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন।
নায়করাজের ছোট ছেলে খালিদ হোসেন সম্রাট বলেন, “আব্বার মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে রাজধানীর উত্তরায় রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের মসজিদে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। একই সময় বাসায়ও হবে মিলাদ ও দোয়া। দুপুরে আসা মেহমান ও গরিব এতিমদের আম্মা নিজ হাতে খাওয়াবেন। আব্বার জন্য দোয়াটাই বড়। সবার কাছে দোয়া চাই।”
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় ঢাকা আসেন তিনি। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। গীতিকার ও সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী খোকা রাজ্জাকের নামের আগে ‘নায়করাজ’ যুক্ত করেন।
শুরুতে দু-একটি সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম সিনেমা ‘বেহুলা’। সেই থেকে শুরু। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার, পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন গুণী এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি প্রথম সভাপতি ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক।