যা-ই করছেন, তা নিয়েই সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারকে। আর জি কর কান্ডে মধ্যরাতে একা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। লোকের নানা কথা শুনতে হয়েছিল।
এবার সিঁদুর পরা নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনেত্রীর ডিভোর্স হয়েছে ৫ বছর হলো।
প্রথম সিরিয়াল ‘সবিনয় নিবেদন’-এ অভিনয়ের সুবাদেই পরিচয় হয় অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে। সেই থেকেই বন্ধুত্ব যা পরিণতি পায় বিয়েতে। মাত্র ১৯ বছরে বিয়ে করেন মধুমিতা। কিন্তু সুখের হয়নি সৌরভ-মধুমিতার দাম্পত্য জীবন।
২০১৯ সালে বিচ্ছেদের পর থেকে মুখ দেখাদেখি বন্ধ দুজনের। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কারও সঙ্গে নাম জড়ায়নি অভিনেত্রীর। আজও টলিপাড়ার অন্যতম সিঙ্গেল অভিনেত্রী মধুমিতা।
তবে ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই ভাইরাল হচ্ছে ঈশ্বরে বিশ্বাসী মধুমিতার পূজা-পাঠের নানান মুহূর্ত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ছিল বিশ্বকর্মা পূজা। আর এই পূজা উপলক্ষ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেও দেখা গিয়েছে সিঁথিতে সিঁদুর পরেছেন তিনি। তারপরেই আর কৌতূহল চেপে রাখতে পারেননি অনুরাগীরা। সবার একটাই প্রশ্ন মধুমিতা সিঁদুর পরেছেন কেন?
শুধু তা-ই নয়, এখন মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীর সিঁথিতে জ্বলজ্বল করছে সিঁদুর। যা দেখামাত্রই তৈরি হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার চুপিচুপি দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেললেন অভিনেত্রী? সত্যিটা কি?
এই নিয়ে মধুমিতা ভারতের গণমাধ্যকে বলেছেন, ‘প্রথমেই জানিয়ে দিই, আমি কিন্তু সৌরভ চক্রবর্তীর নামের সিঁদুর পরছি না। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। শিবের ভক্ত। কোনো মন্দিরে পুজো দিতে গেলে আমি সিঁথিতে সিঁদুর পরি। দেব বিগ্রহে ছোঁয়ানো সিঁদুর, খুব সহজাত ভাবেই সেটা পরি।’
তবে কি তিনি হিন্দু ধর্মের চিরাচরিত প্রথা ভাঙতে চাইছেন? জবাবে মধুমিতা সটান বলেছেন, “আমি আমার ধর্মে বিশ্বাসী। কোনো প্রথা ভাঙতে চাই না। আমি মনে করি সিঁদুর কোনো ছেলে খেলার জিনিস নয়। বিবাহিতা নারীদেরই কেবল সিঁদুর পরা উচিত। আমি সেটার সম্মানও করি।”