শুধু বিয়ের জন্যই নয়, বিয়ের পরও জয়সালমীরের সূর্যগড় প্যালেস ছেড়ে যোধপুর এয়ারপোর্ট থেকে দিল্লির পথে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদবানি ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার ড্রেসেই সেজেছিলেন। দিল্লি সিদ্ধার্থ মালহোত্রার নিজের শহর। কিয়ারা আদবানির শ্বশুরবাড়ি। তাই জয়সালমীরে বিয়ের পর্ব চুকিয়ে সিডকিয়ারা যোধপুর এয়ারপোর্ট থেকে সোজা পাড়ি দিলেন দিল্লি এয়ারপোর্ট।
এদিন দুজনেই দুজনের সঙ্গে মানানসই টুইনিং ড্রেসে সেজেছিলেন। বিয়ের পর সিঁথিতে সিঁদুর আর লাল রঙের সালোয়ার-কামিজে সত্যিই ঝলমলে দেখাচ্ছিল কিয়ারাকে। খুব একটা টাইট নয়, মোটামুটি ঢিলে লাল রঙের ফুলস্লিভ, ডিপ ভি নেকের সিল্কের সালোয়ার-কামিজ, যা সদ্য বিয়ে করে ওঠা মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি মানানসই হয়, কুর্তার সঙ্গে মানানসই অ্যাঙ্কল লেন্থ পালাজো, খুব জাঁকজমকের পোশাক নয়। অথচ নতুন বিয়ে করে ওঠা মেয়েদের জন্য সাধারণভাবে অনন্য হয়ে ওঠার জাদু স্পর্শ দেখিয়েছেন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রা তার পরিকল্পনায়।
এমনকি সদ্য বিয়ে করে ওঠা কিয়ারার অলংকারেও সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে অনন্য হয়ে ওঠার স্পর্শ রয়েছে। কানের দুল পান্না রঙের একটা বড় স্টোনের সঙ্গে মুক্তোর ছোট্ট ঝুমকো। পাঞ্জাবিদের বউ হলে হাতে চূড়া পরতেই হয়। তাই কিয়ারার হাতে ছিল গোলাপি রঙের চূড়া। কপালের ওপর সিঁদুরের ছোঁয়া আর মঙ্গলসূত্র।
অন্যদিকে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা পোশাকের ছিল মনীশ মালহোত্রার ফ্যাশন ওয়ার্ল্ডের লুক, যা বিয়ের পর সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে সাধারণ এক রাজকুমারের চেহারা দিয়েছে। চিকনকারির কাজ করা লাল রঙের কুর্তার সঙ্গে রঙিন ফ্লোরাল এমব্রয়ডারি করা অফ হোয়াইট বেসের শাল নিয়েছিলেন সিড। তার সঙ্গে মানানসই সাদা পাজামা আর পায়ে খয়েরি রঙের মোজরি জুতো।
জয়সালমীর সূর্যগড় প্যালেসে রূপকথার বিয়ে কাটানোর পর এক প্রাইভেট জেটে সিডকিয়ারা সোজা রওনা দেন দিল্লির উদ্দেশে। শোনা গেল, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে রিসেপশন রাখছেন সিড। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ফিরে আসছেন মুম্বাইয়ে। মুম্বাইয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি বলিউডের হুজ’ হু দের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছেন সংবাদমাধ্যমকেও।