সদ্যপ্রয়াত চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এই আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য অনেকেই দৌড় শুরু করেছেন। ছোটপর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান এর সূচনা করেন। আর এতেই চটেছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এই অভিনেতাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন।
সিদ্দিকের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিপজল বলেন, “মামা (ফারুক) যখন থেকে অসুস্থ, তখন থেকেই তিনি (সিদ্দিক) এমপি নির্বাচনের জন্য লাফালাফি শুরু করেছেন। তিনি এমপি নির্বাচন করতেই পারেন। যে কেউই নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু মামার (ফারুক) লাশ কবরে নামানোর আগেই তিনি ঘোষণা দিয়ে দিলেন তার আসনে নির্বাচন করবেন।”
তিনি বলেন, “একটা মানুষকে ইজ্জত দিতে পারতেন। ফারুক যেমন-তেমন মানুষ নন, তিনি তারকাদের কিংয়েরও ওপরে। ওনার মৃত্যুর ৭ দিন কিংবা ৪০ দিন পর নির্বাচন নিয়ে আপনি প্রকাশ্যে আসতে পারতেন। এতো লাফালাফি করাটা আপনার ঠিক হয়নি। না করাটাই ভালো মনে করি আমি। আপনার এমন আচরণে প্রচণ্ড মনোক্ষুণ্ন এবং ব্যথিত হয়েছি আমি। মানুষ রঞ্জিত করে, তবে নিজেকে এতটা রঞ্জিত করা আপনার মোটেও ঠিক হয়নি।”
এ সময় সিদ্দিকের গ্রামের বাড়ির প্রসঙ্গ টেনে ডিপজল বলেন, “আপনার গ্রামের বাড়ি যেখানে, সেখানে গিয়ে নির্বাচন করেন। সুযোগ পেতেও পারেন। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র গুলশান। এখানে যেই নির্বাচন করুক আশপাশে সবার জানা থাকতে হবে। আপনি এসেই ঘোষণা দিচ্ছেন, এই আসনে নির্বাচন করবেন। এটি একেবারেই ঠিক না। আমিও কিন্তু ওই আসনেরই ভোটার। অন্তত একটু সময় নিতে পারতেন আপনি। সমঝোতায় আসতে পারতেন।”
অভিনেতা আরও বলেন, “নেত্রী যদি পছন্দ করেন, তাহলে ওনাকে মনোনয়ন দিতেই পারেন। তবে ওই আসনে অনেক মানুষ আছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছেন। স্থানীয় অনেক প্রভাবশালীও আছেন।”
এর আগে সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার আসনটি শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।