বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এগারতম আসর সোমাবার (৩০ ডিসেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের ক্রিকেটে এই মহাআয়োজন নিয়ে উন্মাদনার কমতি নেই মানুষের মাঝে। উন্মাদনা রয়েছে শোবিজ অঙ্গনেও। এবারের বিপিএলে শোবিজ তারকাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মাঠে যেমন থাকছে উপস্থিতি তেমনি বিপিএল ঘিরে শোবিজ তারকাদের প্রত্যাশাও রয়েছে অনেক। এবারের আসর নিয়ে তারকারা কী ভাবছেন।
ঢাকার হাতে শিরোপা দেখতে চাই : মৌসুমী মৌ, উপস্থাপক-অভিনয়শিল্পী
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই প্রতিবছর বিপিএলের সঙ্গে ছিলাম। তবে এবার ‘সেরা রাঁধুনী’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় অতটা নজর দিতে পারছি না। কোন দলটা বেশি গোছানো সেটা আমার পক্ষে বলাটা কঠিন। তার পরও নানা ইস্যু দিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস ও ফরচুন বরিশালকে এগিয়ে রাখতে চাই। এমনিতে বরিশাল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, তবে এবার ঢাকা বেশ শক্তভাবেই নেমেছে।
নতুন সরকারের আমলে প্রথম বিপিএল। ফলে সাধারণ মানুষের আলাদা নজর থাকবে এবার। আমি সব সময় ভালোর পক্ষে। জানি, যেটা ভালো সেটাই করবে সরকার। এমনিতে অনেক জাকজমকভাবেই শুরুটা হলো। শেষটাও এভাবে হবে বলে মনে করছি। আমি এবার ঢাকার হাতেই শিরোপা দেখতে চাই।এই দলের হয়ে মাঠে তারকা ক্রিকেটার থাকছেন, মাঠের বাইরে রয়েছেন শোবিজ তারকারাও। সবার মুখে হাসি দেখতে চাই।
গৌরব ফিরে পাক বিপিএল: শ্রাবণ্য তৌহিদা, উপস্থাপক
আমার মনে হয়েছে এবারের প্রত্যেকটা দল গোছানো। তবে এগিয়ে আছে ঢাকা, বরিশাল ও রংপুর। এই তিন দলের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকারই বেশি। নতুন সরকারের আমলে প্রথম বিপিএল। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা নতুন উদ্দম দেখা যাচ্ছে। দেশে এখন সংস্কার চলছে। আমি চাই বিপিএলও তার গৌরব ফিরে পাক। পাশাপাশি সাধারণ দর্শকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। গ্যালারিতে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে এবার, সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। আমি বিশেষ কোনো দলের নাম মেনশন করতে চাই না। তবে যে দলই শিরোপা জিতবে নিশ্চয়ই ভালো খেলেই জিতবে। আমার পক্ষ থেকে তাদের অগ্রিম শুভ কামনা।
এবার বিপিএল মাঠে বসে দেখব: প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, অভিনেত্রী
এবারের বিপিএল খুব কাছ থেকে দেখা হবে। প্রথম থেকে আমি দলগুলোর দিকে নজর রেখেছি। যেহেতু আমি অফিশিয়ালি ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে আছি। তাই অন্য দলগুলোর দিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছে। আমাদের চেয়ে তারা কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে সেটা নিয়ে নিয়মিত আমরা আলোচনা করি। ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে আছি বলেই বলছি না, আমাদের দলটা আসলেই বেশ গোছানো। নতুন সরকার সব দিক থেকেই গুছিয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে তাদের কাছে। আমার মনে হয়, এবারের আসরটা আওয়াজ দিয়ে শুরু হয়েছে। দেখেন, একের পর এক কনসার্ট, দর্শক সমাগম—বিপিএলের এবারের আয়োজনে সফল বলেই মনে করছি।
ঢাকার হাতেই শিরোপা দেখতে চাইব—এটাই স্বাভাবিক। আমার পছন্দের দলও এটা
শিরোপা দেখি বরিশালের হাতে: নীল হুরেরজাহান, উপস্থাপক
প্রত্যেকটা দলই নিজেদের মতো করে গুছিয়েছে। তবে আমার কাছে এবারও বেশি স্ট্রং মনে হয়েছে ফরচুন বরিশালকে। এই টিমে আমাদের জাতীয় দলের বড় তারকা খেলোয়াড়রা আছেন। তাঁরা যেকোনো সময় জ্বলে উঠলে অন্য দলের আলো নিভে যেতে পারে। ঢাকা ক্যাপিটালসও ভালো। তবে এবার খুলনার দিকেও আলাদা নজর থাকবে আমার। এই দলে অনেক বড় তারকা নেই। তবে টিম ওয়ার্ক করবে বলে আমার ধারণা। আর ক্রিকেট তো টিম ওয়ার্কের খেলা। একা খেলে দল জেতানো যায় না।
নতুন সরকার এবার বিপিএল আয়োজনে যথেষ্ট আন্তরিক বলে মনে হচ্ছে। আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত বিপিএল একটা উৎসব হয়ে উঠুক। বাঙালির মধ্যে একটা সাজ সাজ রব তৈরি হোক। এর জন্য সরকারের যা যা করার করতে হবে। আমার কথায় মনে হয় বুঝতে পেরেছেন, ফরচুন বরিশাল পছন্দের দল। এই দলের হাতেই আমি শিরোপা দেখতে চাই।