দেশ মাতিয়ে আগামী ২ মে থেকে মধ্যপ্রাচ্য মাতাবে সুপারস্টার শাকিব খানের ‘রাজকুমার’। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির পরিচালক হিমেল আশরাফ। তিনি ফেজবুকে জানান, কানাডা, আমেরিকার সাথে ১৯ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতেও `রাজকুমার` রিলিজ হবার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে ছবির সেন্সর শো ২ দফা বাতিল হয়, সে সাথে মুক্তি পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল চলে যায়। ভক্স এর ওয়েবসাইটে এখনো ২৫ এপ্রিলই রিলিজ ডেট দেখাচ্ছে। কিন্তু ২৩ এপ্রিল আবার খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকায় `রাজকুমার` মুক্তির তারিখ ২ মে করা হয়েছে। টিকেট পাওয়া যাবে ৩০ তারিখ থেকে।
এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া থিয়েটারগুলির নাম দেয়া হল-
এ তালিকায় আবু ধাবির একটা হল যুক্ত হবার জোড় সম্ভাবনা আছে। `ভক্স` এর পাশাপাশি আরো ১/২টা চেইনের সিনেমা হলও থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত হল লিস্ট আগামী সপ্তাহের শুরুতে পাওয়া যাবে।
.পরিচালক বলেন, আপাতত দুবাই, শারজাহ ও আজমানের এ ৪ টি হলের আশেপাশে যারা আছেন তারা দলে বলে তৈরি হয়ে যান। বাংলাদেশের সিনেমা দিয়ে আরব আমিরাতে বড় কিছু ঘটাতে হবে। শুধু ভারতীয়রা না, মধ্যপ্রাচ্যে যে আমরা অনেক বাংলাদেশিও থাকি সেটা সবাইকে ভালো মতন জানাতে হবে।
দেশে ঈদের দিন মুক্তি পাওয়া সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘রাজকুমার’ ৩য় সপ্তাহেও দর্শক চাহিদার শীর্ষে। মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দর্শক হলে গিয়ে সিনেমাটি হুমড়ি খেয়ে দেখছেন।
ঈদের ছবি হিসেবে বাণিজ্য ও দর্শকপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’। সিনেমার গল্পের বিভিন্ন অংশ দর্শককে আবেগ আপ্লুত করছে। সেই সঙ্গে শাকিবের অভিনয়ও পাচ্ছে ভূয়সী প্রশংসা। ফলে স্টার সিনেপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে উল্লেখযোগ্য দর্শক সমাগম হচ্ছে। ঈদে সর্বাধিক ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘রাজকুমার’।
‘রাজকুমার’ বাংলা সিনেমার নতুন ইতিহাস গড়বে বলে মন্তব্য করেছেন রাজকুমার সিনেমার পরিচালক হিমেল আশরাফ। তিনি সিনেমা নিয়ে বলেন, ‘ঢাকা, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, বান্দরবন, ভারত ও আমেরিকায় শুটিং হয়েছে রাজকুমার। এমন লোকেশনে, এমন আয়োজনে রাজকুমারের শুটিং হয়েছে যা কিছুদিন আগেও বাংলা সিনেমার জন্য স্বপ্ন ছিল। শুধু নিউইয়র্কেই টানা ১৮ দিন শুটিং হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন অনেক আমেরিকান প্রফেশনাল কর্মী কাজ করেছেন, সাথে বাংলাদেশের টিম তো ছিলই।’
‘রাজকুমার’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে রয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি আরও রয়েছেন, তারিক আনাম খান, মাহিয়া মাহি প্রমূখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন ভার্সেনটাইল মিডিয়া। ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন আরশাদ আদনান।