সুপারস্টার শাকিব খান। ঈদে যার অভিনীত সিনেমা দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে দর্শক। সিনেপ্লেক্সে শো বাড়াতে হয়, ঈদের বাইরে সেই শাকিব খানের প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’ দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফেরাতেও ব্যর্থ হলেন।
‘দরদ’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। ঈদের বাইরে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাটি দর্শক ভালোভাবে গ্রহন করেনি। শুধু ‘দরদ’ নয় , কাছাকাছি সময়ে বাংলা সিনেমার মধ্যে ‘শরতের জবা’, ‘নয়া মানুষ’, ‘মুখোশ’, ‘ভয়াল’ সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে, এ ছবিগুলো একদমই দর্শক টানতে পারেনি।
ধারণা করা হচ্ছিলো শাকিব খানের ‘দরদ’ মুক্তি পেলে সিনেমার মন্দাভাব কাটবে। কিন্তু সেটা হয়নি। সিঙ্গেল স্ক্রিন কিংবা সিনেপ্লেক্স- কোনোটিতেই সেভাবে দর্শক টানতে পারেনি ‘দরদ’।
এ বিষয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অবস্থা ভালো নয়। কারণ দর্শক খরায় ভুগছি আমরা। দর্শক সিনেমা দেখতে আসছে না। এরমধ্যে অনেক ভালো ভালো হলিউড সিনেমাও মুক্তি দিয়েছি আমরা। কিন্তু দর্শক তেমন একটা আসেনি।
‘দরদ’ নিয়ে একটা প্রত্যাশা ছিল আমাদের, যেহেতু শাকিব খানের ছবি। কিন্তু কেন যেন দর্শক পজেটিভভাবে নেয়নি ছবিটি। এখন নতুন বছরে ঈদে যদি কোনো পরিবর্তন আসে সেদিকে তাকিয়ে আছি আমরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্সের মতোই অবস্থা যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসেরও। আর সিঙ্গেল স্ক্রিনের অবস্থা আরও খারাপ। দর্শক সমাগম তেমন একটা নেই। শাকিব খানের আগের তিন সিনেমা প্রিয়তমা, রাজকুমার ও তুফান সারা দেশের সিনেপ্লেক্স ও সিঙ্গেল হলগুলোতে ভালো চলছিলো। অনেক বন্ধ হয়ে যাওয়া হলও খুলে এ ছবিগুলোর ওপর ভর করে। কিন্তু এবার সিঙ্গেল হলগুলোও হতাশ। ‘দরদ’ চালিয়ে লাভের মুখ দেখছে না তারা।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়াতেই দর্শক সিনেমা দেখার আগ্রহ পাচ্ছেন না। পাশাপাশি এ রকম কোনো ভালো ছবিও দরকার যেটা ইন্ডাস্ট্রির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু বছরের শেষ পাঁচ মাস চলচ্চিত্রের জন্য খুব একটা সুখকর হয়নি। বরঞ্চ এ সময়ে একের পর এক ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছে।