চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা করেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ। ঢাকার সিএমএম কোর্টে মো. রশিদুল আলমের আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০/৫০১ ধারায় মানহানির মামলা করেন এই প্রযোজক। মামলা নম্বর: সিআর-২৪৯/২৩ (রমনা)।
মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম সম্প্রতি এ আদেশ দেন। রহমত উল্লাহর আইনজীবী তবারক হোসেন ভূঁঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী তবারক হোসেন বলেন, তার মক্কেল একজন প্রযোজক। কিন্তু চিত্রনায়ক শাকিব খান তাকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এজন্য তিনি আইনি প্রতিকার চেয়ে আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান জানান, তারা বিষয়টি জেনেছেন, তার মক্কেল শাকিব খানের বিরুদ্ধে নালিশি আবেদন করা হয়েছে। আদালত সেটি সরাসরি আমলে না নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।
এর আগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে ১৫ মার্চ ধর্ষণ, অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাসের অভিযোগ এনেছিলেন রহমত উল্লাহ। এ বিষয়ে শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
এরপরে গত ২৭ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তার করা মামলাটিও তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলা করার চার দিন আগে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চাঁদাবাজি ও মানহানির আরেকটি মামলা করেন শাকিব খান। ওই মামলায় ২৬ এপ্রিল রহমত উল্লাহকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এক নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। এ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ।