সুপারস্টার শাকিব খান। ১৯৯৯ সালে শোবিজে পা রাখেন শাকিব। অভিনয় করেন সোহানুর রহমান সোহানের ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমায়। ২৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা। শোবিজে গড়ে তুলেছেন শক্ত অবস্থানও।
অন্যদিকে, টিভির জনপ্রিয় মুখ আফরান নিশো। মডেলিং দিয়ে ২০০০ সালে শোবিজে তার যাত্রা শুরু। গাজী রাকায়াতের ‘ঘরছাড়া’র মধ্যদিয়ে ২০০৬ সালে নাটকে অভিষেক ঘটে এই অভিনেতার। দুই যুগের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট নাটক।
আর ২০২৩ সালে ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে সিনেমার মিশন শুরু করেন এই অভিনেতা। এটি নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফী। নিশোও শোবিজে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন।
এদিকে, গেল ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবার’ আর আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমা। ঈদের হাফ ডজন সিনেমার ভিড়ে আলোচনায় এগিয়ে আছে শাকিবের ‘বরবাদ’, নিশোর ‘দাগি’ ও সিয়ামের (সিয়াম আহমেদ) ‘জংলি’।
মুক্তির প্রায় চার সপ্তাহ পরও সগৌরবে চলছে এগুলো। এর মধ্যে কেউ এগিয়ে আবার কেউ কিছুটা পিছিয়ে! তবে আশার কথা- হলমুখী হচ্ছেন দর্শক। আর নেটদুনিয়াতেও সবগুলো সিনেমা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
মজার ছলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ ও ‘জেমিনি’র কাছে জানতে চাওয়া হয়- শাকিব খান নাকি আফরান নিশো, কে সেরা?
উত্তরে চ্যাটজিপিটি জানিয়ে দিল শাকিব এবং নিশো দুজনেই জনপ্রিয় অভিনেতা কিন্তু তাদের স্টাইল এবং শক্তি আলাদা। শাকিব খান বাংলা সিনেমার জগতে অন্যতম বড় তারকা। তার অসংখ্য ভক্ত রয়েছে এবং তিনি তার বহুমুখী অভিনয়, অ্যাকশন ও রোমান্টিক সিনেমার জন্য পরিচিত। বছরের পর বছর ধরে তিনি অসংখ্য হিট সিনেমার মাধ্যমে একটি বিশাল ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। পর্দায় তার উপস্থিতি এবং দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা তাকে ইন্ডাস্ট্রিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব করে তুলেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিনয়ের জন্য নিশোও এখন সুপরিচিত অভিনেতা। তাকে সমসাময়িক অভিনয়ে জটিল সব চরিত্রে দেখা গেছে। নিশো তার শক্তিশালী অভিনয় এবং তার চরিত্রগুলোতে গভীরতা আনার ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত, যা তাকে ঢালিউডে একজন উদীয়মান তারকা করে তুলেছে। কে ‘ভালো’ তা আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে; আপনি যদি গণবিনোদন, ভরপুর অ্যাকশন ও রোমান্টিক সিনেমা উপভোগ করেন, তাহলে শাকিব খান আপনার পছন্দ হতে পারেন। যদি আপনি আধুনিক, তীব্র অভিনয় এবং স্তরবদ্ধ চরিত্র পছন্দ করেন তাহলে নিশো আপনার কাছে আরও আলাদা হতে পারে।
চ্যাটবট এআই ‘জেমিনি’ এর উত্তরটি দিয়েছে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। দর্শককেই নির্ধারণ করতে বলেছে সেরা বা পছন্দের অভিনেতাকে।
জেমিনি’র উত্তর এমন- অবশ্যই! শাকিব খান এবং আফরান নিশো দুজনেই বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান অভিনেতা। তাদের মধ্যে কে সেরা, তা বলা কঠিন। কারণ দুজনেরই নিজস্ব স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং ফ্যানবেজ রয়েছে।
এরপর শাকিব খানের অর্জনগুলো তুলে ধরেছে জেমিনিবলেছে-
১. দীর্ঘ ক্যারিয়ার এবং অসংখ্য জনপ্রিয় বাণিজ্যিক সিনেমার জন্য পরিচিত।
২. তাকে ‘ঢালিউড কিং’ এবং ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’ হিসাবে অভিহিত করা হয়।
৩. অসংখ্য দর্শকের কাছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
৪. অ্যাকশন এবং রোমান্টিক চরিত্রে তার শক্তিশালী উপস্থিতি দেখা যায়।
৫. তিনি একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন।
অন্যদিকে নিশোর অর্জনগুলো তুলে ধরে এই এআই বলেছে-
১. টেলিভিশন নাটক এবং ওয়েব সিরিজে তার ব্যতিক্রমী অভিনয়ের জন্য পরিচিত।
২. বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে সাবলীলভাবে অভিনয় করার ক্ষমতা রাখেন।
৩. সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত এবং একটি শক্তিশালী ফ্যানবেজ তৈরি করেছেন।
৪. ‘সুড়ঙ্গ’র মাধ্যমে তার সিনেমায় অভিষেক ব্যাপক সাফল্য লাভ করে।
৫. তার অভিনয় প্রায়শই সূক্ষ্ম এবং গভীর মনস্তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরে।
সবশেষে শাকিব খান ও আফরান নিশোর তুলনা করতে গিয়ে জেমিনি বলে,
১. শাকিব খান মূলত বাণিজ্যিক সিনেমার তারকা, যেখানে আফরান নিশো নাটকে এবং বিকল্প ধারার সিনেমায় বেশি পরিচিতি লাভ করেছেন।
২. শাকিব খানের জনপ্রিয়তা দেশব্যাপী বিস্তৃত, বিশেষ করে বৃহত্তর দর্শক শ্রেণির মধ্যে। আফরান নিশোর একটি শক্তিশালী শহুরে এবং সমালোচক মহলে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
৩. অভিনয়ের ধরনেও ভিন্নতা দেখা যায়। শাকিব তার বলিষ্ঠ উপস্থিতি এবং অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য পরিচিত। অন্যদিকে নিশো তার চরিত্রায়ণ এবং আবেগের গভীরতা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।
সবশেষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র চোখে- সুতরাং, কে সেরা তা নির্ধারণ করা ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি বাণিজ্যিক সিনেমার ভক্ত হন এবং অ্যাকশন-রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা পছন্দ করেন, তাহলে শাকিব খান আপনার কাছে সেরা মনে হতে পারে। আর যদি আপনি শক্তিশালী অভিনয় এবং ভিন্নধর্মী গল্পের অনুরাগী হন, তাহলে আফরান নিশো আপনার মন জয় করতে পারে।
সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতার দৌড়ে তাদের দুজনের নামই শোনা যাচ্ছে, যা তাদের নিজ নিজ স্থানে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেয়।