জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও মডেল ওয়াসিফ খানের ব্যয়বহুল ফটোশুটকে ঘিরে মডেল-উপস্থাপিকা-নৃত্যশিল্পী বারিশ হকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান ফ্যাশন ডিজাইনার রোজা আফরোজা (আফরোজা সিদ্দিকা রোজা), নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি।
রোজা ও তনির আনা একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রমাণ নিয়ে হাজির হন বারিশ ও তার স্বামী আলভী রায়হান সীমান্ত।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উত্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনে বারিশ হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে তার স্বামী সীমান্ত বলেন, সেদিন একইসঙ্গে দুটি ফটোশুট ছিল। হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়েছিলেন কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা ও ফ্যাশন ডিজাইনার- মডেল আফরোজা রোজা।
আফরোজা রোজা ও তনির অভিযোগ ফটোশুটের দিন হেলিকপ্টার জোর করে নিয়ে ফটোশুট করেন বারিশ। এ অভিযোগের বিরুদ্ধে সীমান্ত বলেন, হেলিকপ্টার ভাড়া নেয়ার সময় ও রুম ভাড়ার রশিদ প্রমাণ করে যে, বারিশ হেলিকপ্টার জোর করে নিয়ে ফটোশুট করেনি। বরং সেখানে রোজাই আসতে দেরি করেন। ফটোশুটের জন্য যে সময়ে হেলিকপ্টার ভাড়া নেয়া হয়েছিল তার বাইরে হেলিকপ্টার লিফট চান। আমার অনুরোধে তাকে সে সুবিধা দেয়া হয়।
সীমান্ত আরও বলেন, দেরি করে আসার কারণে সিরিয়ালে আগে থাকা গৌতম সাহার শুটিং আগে শুরু হয়। তিনি হেলিকপ্টার নিয়ে দেরি করে আসায় গৌতম সাহার শুটিং শেষ হতে দেরি হয়। তাই তারও শুটিং শেষ হতে দেরি হয়েছে। এ কারণে ওইদিন আমাদের অন্য ক্লায়েন্টদের হেলিকপ্টার ফ্লাইয়ের সুযোগ দিতে না পারায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যে বিষয়টি আমরা অনুরোধের কারণে মেনে নিয়েছি।
কনসেপ্ট চুরির বিষয়ে সীমান্ত বলেন, ফটোশুটের সঙ্গে বারিশ হক জড়িত নন। শুধুমাত্র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার কারণে বারিশকে এখানে দোষারোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে এ ফটোশুটের সঙ্গে কোনোরকম জড়িত নন অভিযোগকারী ওই নারী উদ্যোক্তা (তনি)। তারপরও প্রকাশ্যে তিনি বারিশকে কটাক্ষ ও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন।
এরপরই রোজার দিকে অভিযোগ তুলে সীমান্ত বলেন, আসলে এটা একটা ষড়যন্ত্র। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাবলিক স্ট্যান্ট করা হয়েছে। বারিশকে ফ্রেম করে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ডিজাইনার নাম ভাঙিয়ে রোজার উঠতি মডেলদের বিদেশে নিয়ে যাবে, শুট করবে, র্যাম্প করাবে এ প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেয়ার টার্গেট ছিল। ২০২৩ সালে ৫ থেকে ৭ জন মডেলের কাছ থেকে প্রতারণা করে ৪৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, নানা অসঙ্গতির কারণে ২০২৩ সালে তার লোরাকো নামের ফ্যাশন হাউজ আমেরিকায় নিষিদ্ধ করা হয়।
সবশেষে সংবাদসম্মেলনে বারিশ বলেন, ফটোশুটের দিন আমার সাথে রোজার দেখাই হয়নি। অথচ তিনি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলেছেন, আমি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি সেদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে অকারণেই এক নারী উদ্যোক্তা (তনি) অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে আমার বডি শেমিং করেন। আমার নামে যা তা ভাষা ব্যবহার করেন। নারী হিসেবে, একজন মা হিসেবে আমি এর বিচার চাই।
বারিশ হক আরও বলেন, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ক্যারিয়ার, সুনাম নষ্ট করতে চাচ্ছেন, ব্র্যান্ড প্রমোটার, অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় আমার ব্র্যান্ডের দুর্নাম ছড়াতে চাচ্ছেন, আমার মানহানি করতে চাচ্ছেন আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।