তৌহিদ আফ্রিদি এক নামেই সবার কাছে পরিচিত। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার তিনি। বিশেষত ভ্লগ করে তিনি নিজেকে ব্যাপক পরিসরে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। পাশাপাশি টিভি অনুষ্ঠানও করেছেন। তবে তার আসল দুনিয়া ইউটিউব।
নতুন খবর তৌহিদ আফ্রিদি গোপনে বিয়ে করেছেন। গত জুলাইয়ের আন্দোলনে নানা বিতর্কের সৃষ্টির পর ঘরোয়া আয়োজনেই চুপিসারে বিয়ে সেরেছেন তিনি।
তৌহিদ আফ্রিদির স্ত্রীর নাম রাইসা। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন তিনি। দু’জনের মাঝে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
চুপিসারে বিয়ে করলেও মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত থেকেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের বেশ কয়েকটি ছবি।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো ফোনকল বা মেসেজের রিপ্লাই দেননি তিনি।
এ বিষয়ে আফ্রিদির ঘনিষ্ঠমহলের কয়েকজন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফ্রিদির নামে বর্তমানে মামলা রয়েছে, এছাড়াও সরকার পতনের পর বিতর্কিত বেশ কিছু ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে চাচ্ছেন তিনি। যে কারণে বিয়ের পুরো আয়োজনটি ঘরোয়াভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে আত্মীয়স্বজন বাদে কাউকে রাখা হয়নি।
এছাড়া ইতোমধ্যে আফ্রিদির বিয়ের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাতে মেহেদি দিয়ে আফ্রিদির নাম লিখেছেন তার স্ত্রী রাইসা। অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কবুল বলার মুহূর্তে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন তিনি।
এছাড়াও পারিবারিক আয়োজনে বিয়েতে আফ্রিদি-রাইসাকে একাধিক ফ্রেমে দেখা মিলেছে। যেখানে শুধু দুজনের পরিবারের সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন।
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়েন তৌহিদ আফ্রিদি। এরপর সেপ্টেম্বরে আফ্রিদি ও তার বাবা মাইটিভির মালিক নাসির উদ্দিন সাথীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয় যাত্রাবাড়ী থানায়।
যেখানে প্রধান আসামি করা হয় শেখ হাসিনাকে। আসামির তালিকায় ২ নম্বরে ছিলেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ১১ নম্বর আসামি তৌহিদ আফ্রিদি এবং ২২ নম্বর আসামি নাসির উদ্দিন সাথী।
এই ঘটনার পর থেকেই একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান আফ্রিদি। গত দুই মাসেও কোনো সাড়া শব্দ শোনা যায়নি তার। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে প্রকাশ্যে এলো তার বিয়ের খবর।