• ঢাকা
  • বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ সফর ১৪৪৫

গোপনে বিয়ে অভিনেত্রীর, এবার এলো বিচ্ছেদের খবর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
গোপনে বিয়ে অভিনেত্রীর, এবার এলো বিচ্ছেদের খবর

২০১৭ সাল থেকে ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন মিহি আহসান। মিডিয়ায় আসার আগেই জাহাঙ্গীর কামাল চৌধুরী শুভ নামের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। ক্যারিয়ারের খাতিরে সেই খবর গোপন রেখেছিলেন। তাদের একটি পুত্রসন্তানও আছে। সম্প্রতি শুভকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন মিহি। এরপরেই প্রকাশ্যে আসে অভিনেত্রীর বিয়ে ও সন্তানের খবর। তবে মিহির সঙ্গে এখনো সংসার করতে চান শুভ; অন্যদিকে মিহি জানালেন, বিয়ের পর প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।

মিহি বলেন, “আমি বিয়ে করেছি, বাচ্চাও আছে। কাছের মানুষরা সবাই জানে। এটা আড়াল করিনি। শুভকে তালাক দেওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছে আমি এক কোটি টাকা দেনমোহর নেওয়ার জন্য এমনটা করেছি। কিন্তু ওর কী ক্ষমতা আছে আমাকে এক টাকা দেওয়ার। আমি ওর কাছে মুক্তি পাওয়ার জন্য তালাক দিয়েছি। সে একজন প্রতারক। ওর প্রতারণার শিকার অনেক মানুষ আমার কাছে প্রতিনিয়ত আসে।”

এক কোটি টাকা দেনমোহরে ব্যবসায়ী শুভ চৌধুরীকে (মো. জাহাঙ্গীর কামাল) বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর কয়েক বছর স্বামী ও সন্তান নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় সংসার করছিলেন মিহি।”

বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামীর সঙ্গে হিমি
বিষয়টি শোবিজ দুনিয়ায় কাজ করলেও মিহি ও সন্তানের বিষয়টি আড়াল ছিল। তালাকের চিঠি পেয়ে শুভও মিহির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনেন। মিহি নাকি একাধিক নাটকের পরিচালকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে এসব অস্বীকার করে এই অভিনেত্রী বলেন, “২০১৭ সালে কলেজে পড়ার সময় সে আমাকে মিথ্যা বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। নিজের প্রথম বিয়ে গোপন করে আমাকে বিয়ে করে। আমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল এক লাখ টাকা দেনমোহরে। কিন্তু তার গোপন বিয়ের খবর জেনে যাওয়ার পর সে আমাকে বলে তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু নিয়মিত তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। ফলে আমি আমার মায়ের বাসায় চলে আসি। ২০১৯ সালের ঘটনা এটা। তখনই আমি তাকে তালাকের চিঠি দিই। এর ৯০ দিনের মধ্যে সে আমাকে যেকোনো মূল্যে গ্রহণ করতে রাজি হয়। আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে সে আমার কাছে চলে আসে এবং এক কোটি টাকা দেনমোহর দিয়ে সে নিজেই আমার বিশ্বস্ততা অর্জন করার চেষ্টা করে।”

শুভ কখনোই সংসার করতে চায় না। সে সংশোধন হবে না, প্রতারণা ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত থাকবে। ফলে সংসার হবে না এমনটাই জানিয়ে মিহি বলেন, “তাকে ব্যবসা করার জন্য ২০ লাখ টাকা দিয়েছি। টাকা নিয়ে দুবাই গেছেন। সেখানেও মামলা খেয়েছেন। বুঝতে পেরেছি সংসার সম্ভব না। গত ৩০ জুন আমি তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি, যা কার্যকর হতে ৩ মাস সময় লাগবে। দীর্ঘ সময় ধরে তার সঙ্গে আমার ঝামেলা চলছে। আমার নামে ভিত্তিহীন কথা বলার জন্য তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি, তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলাও করেছি। সেটি তদন্ত চলছে।’ মিহির স্বামীর দাবি, স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ১ ডজন নাটক প্রযোজনা করেছেন। তবে স্বামীর প্রযোজনায় মাত্র একটি নাটকে কাজ করেছেন, ‘তুমি রবে মনে’ নামের নাটকটিতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলে জানান মিহি।

Link copied!