গণ-অর্থায়নে নির্মিত সিনেমা ‘সাঁতাও’। ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে এটি। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি নিয়ে ছিলো শঙ্কা। নানা সংকট পেরিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে মুক্তি পায় এটি।
তবে এক সপ্তাহ পরই ছবিটির প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয় হলগুলো। এ নিয়ে আক্ষেপ-ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্মাতা খন্দকার সুমন। তার দাবি, উল্লেখযোগ্য হারে দর্শক বাড়লেও হল কর্তৃপক্ষ তার ছবিটি নামিয়ে দিয়েছে।
এদিকে হলে না থাকার কারণে যারা ‘সাঁতাও’ দেখার সুযোগ পাননি, তাদের জন্য আরও একটি সুযোগ ঘনিয়ে এলো। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মাত্র ৫০ টাকার টিকিটে ছবিটি দেখা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে গেলো ৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪২৯’। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কয়েকটি বাংলা সিনেমা প্রদর্শিত হচ্ছে। উৎসবটি শেষ হচ্ছে ‘সাঁতাও’ প্রদর্শনের মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এটি দেখানো হবে।
হল থেকে নেমে যাওয়া নিয়ে নির্মাতা খন্দকার সুমন আক্ষেপ প্রকাশ করেন বলেন, “দর্শক কেবল বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু ‘সাঁতাও’ দ্বিতীয় সপ্তাহের সুযোগ পায়নি। বর্তমানের মন্দা বাজারেও চলমান বাংলা চলচ্চিত্রগুলোর চেয়ে ‘সাঁতাও’-এর সেলস ভালো ছিলো। তারপরও ছবিটিকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব অবহেলা-বঞ্চনা আমাদের আরও শক্তিশালী করবে।”
রংপুর অঞ্চলের সুরেলা জনগোষ্ঠীর যাপিত জীবন ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে নির্মিত ‘সাঁতাও’-এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ।