প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করেই শুটিং করতে হায়দরাবাদে রয়েছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। তিনি সেখানকার ঐতিহাসিক তাজ ফলকনুমা প্যালেসে তার আসন্ন ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। তার আগেই সালমানের নিরাপত্তা দল শুটিং স্পটে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে শুটিং স্পটের আশপাশ খতিয়ে দেখেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
এর ফলে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই চলছেন সালমান। লাগাতার হুমকির মধ্যেও কাজ বন্ধ করেননি তিনি। গত বৃহস্পতিবার বিষ্ণোইয়ের লোকজন নতুন করে হুমকি দিয়েছেন সালমান খানকে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হুমকিবার্তা পেয়েছে মুম্বাইয়ের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম। একটি গানে সালমানের সঙ্গে বিষ্ণোই গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তাতেই আবারও ক্ষুব্ধ হয়েছেন গ্যাংস্টারের অনুগামীরা। ওই গান যিনি লিখেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তারা। হুমকির পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে চার স্তরের বলয়ের মধ্যে রয়েছেন এই বলিউড অভিনেতা। সালমানকে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা আগেই দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের যে হোটেলে রয়েছেন সালমান, সেখানে কর্মীদের বেশ কয়েকটা নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অভিনেতার কাছে পৌঁছাতে হবে। ঢোকা ও বেরোনোর সময় পরিচয়পত্র দেখাতেই হবে। এ ছাড়া অভিনেতা শুটিং করছেন যেখানে, সেখানে বেশ কিছু নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। রয়েছেন প্রাক্তন প্যারামিলিটারিরাও। সেইসঙ্গে সালমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ও সবসময়ের ছায়াসঙ্গী শেরা রয়েছেন।
তার ওপর হায়দরাবাদ পুলিশও দিয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ভাইজানের ধারে কাছে যাতে কেউ ঘেঁষতে না পারে, তার জন্যই এতটা কড়াকড়ি।
এর আগে ১২ অক্টোবর মুম্বাইয়ে সালমানের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবীদ বাবা সিদ্দিকি খুন হন। সেই সময় “সিকান্দার” সিনেমার শুটিং করছিলেন ভাইজান। খবর পেয়েই তিনি শুটিং ফ্লোর থেকে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছান। পরের দিন তিনি সিদ্দিকির শেষকৃত্যেও উপস্থিত ছিলেন।