প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করেই শুটিং করতে হায়দরাবাদে রয়েছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। একাধিকবার তাকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাদ নেই বলিউড বাদশা শাহরুখ খানও। সম্প্রতি তাকেও ভারতের ছত্তিশগড় থেকে ফোনে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। জনপ্রিয় এ দুই তারকার খুনের হুমকি বার্তার ভেতরেই আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সাইফ-কারিনার বিয়ের সময়কার সেই ঘটনা।
২০১২ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন সাইফ আলি খান এবং কারিনা কাপুর। যদিও বিয়ের আগে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পার হতে হয়েছে দুই তারকাকে। পতৌদি পরিবারের নবাবের সঙ্গে কাপুর পরিবারের মেয়ের বিয়ে খবর শুনে যেমন হুমকির মুখে পড়েছিলেন সাইফ-কারিনা নিজে, তেমনই তাদের পরিবারকেও খুনের হুমকি পেতে হয়েছিল।
বলিউড নবাব একবার নিজেই জানিয়েছিলেন সেই ঘটনা। কারিনার বাবা রনধীর কাপুরের কাছে অজ্ঞাত পরিচয় কেউ খুনের হুমকি দেওয়া চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে সাফ লেখা ছিল, “এই বিয়ে হলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাইফ-কারিনার বিয়ের ভেন্যুতেও হামলা চালানো হবে।” যদিও এমন হুমকিবার্তায় বিচলিত হননি সাইফ নিজে। তার কারণ তাদের পরিবারে এ রকম ঘটনা আগেও ঘটেছে।
সাইফ জানান, ষাটের দশকে যখন তার বাবা-মা মনসুর আলী খান পতৌদি এবং শর্মিলা ঠাকুর ভিন্নধর্মী বিয়ে করেছিলেন, তখনো একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। অভিনেতার কথায়, “আমরা বিয়ে করি, কিছু মানুষ আসলে সেটা ভালোভাবে নেননি। আমার শ্বশুরের কাছে একাধিক হুমকিবার্তা এসেছিল। বলা হয়েছিল, আমাদের বিয়ের ভেন্যু নাকি বোম দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে। নইলে পরিবারের কারও ক্ষতি করা হবে। তবে এসবে ভয় পাইনি আমি। কারণ হুমকি দেওয়া আর সেটাকে কাজে করে দেখানোর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেটা জানতাম।”
শর্মিলা ঠাকুর নিজেও একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে তার বিয়ের সময়ে কলকাতার বাড়িতে টেলিগ্রামে হুমকিবার্তা পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, “এরপর গুলি কথা বলবে...।” সেই একই ঘটনা ঘটে সাইফ-কারিনার ভিনধর্মী বিয়ের সময়েও।