• ঢাকা
  • রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩০, ২৬ রজব ১৪৪৬

সেই রাতের ‘রোমহর্ষক’ বর্ণনা দিলেন সাইফ আলি খান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
সেই রাতের ‘রোমহর্ষক’ বর্ণনা দিলেন সাইফ আলি খান
সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর। ছবি : সংগৃহীত

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানকে গত ১৬ জানুয়ারি রাতে একের পর এক ছুরির আঘাত হেনেছিলেন এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি। অভিনেতার স্ত্রী কারিনা কাপুর খান তার বয়ানে এ কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। জেরার সময় প্রায় একই কথা বলতে শোনা গিয়েছে তারকা দম্পতির ছোট ছেলে জেহ্‌-র দেখভালকারীর থেকেও। ওই রাতে যিনি হামলার শিকার, সেই সাইফ কী বলছেন? ঠিক কী ঘটেছিল এই অভিনেতার সঙ্গে? ওই রাতের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে নায়ক নিজেই।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

সাইফ আলী জানান, হামলাকারীকে পেছনে থেকে চেপে ধরেছিলেন তিনি। এ সময় নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল আততায়ী। আর তা করতে গিয়ে সে ধারাল ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে তাকে।

অভিনেতা জানান, পরিবারের সদস্যরা এবং গৃহপরিচারিকা সে দিন রাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। জেহ্‌-র চিৎকার শুনে তিনি প্রথম নিচ তলায় নেমে আসেন। এসে দেখেন, ছেলের ন্যানি ইলিয়াম ফিলিপের সঙ্গে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির ধস্তাধস্তি হচ্ছে। দ্রুত তাকে বাঁচাতে পেছন থেকে আততায়ীকে চেপে ধরেন তিনি।

সাইফ আলী খান বলেন, “আমার শরীর থেকে এত রক্ত বেরোতে দেখে কারিনা ও আমার ছেলেরা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ওরা আমায় হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। জেহ্‌-র চিৎকার শুনে আমরা নিচে নেমে আসি। নিচের তলার ঘরে আমার দুই ছেলে থাকে। সঙ্গে থাকেন ওদের ন্যানি ও পরিচারিকারা। নিচে গিয়ে দেখলাম ছেলের ন্যানির সঙ্গে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির ধস্তাধস্তি হচ্ছে। তার হাতে ধারাল ছুরি ছিল। বিপদ বুঝতে পেরে আমি পেছন থেকে লোকটিকে চেপে ধরি।”

সঙ্গে সঙ্গে আগন্তুক জেহ্‌-র বদলে নিশানা বানান অভিনেতাকে। এলোপাথাড়ি ঘাড়ে, হাতে, পিঠে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকেন! আঘাতের পর আঘাত সহ্য করতে করতে একটা সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন সাইফ। সেই অবস্থাতেই ধাক্কা দিয়ে হামলাকারীকে ছোট ছেলের থেকে দূরে সরিয়ে দেন। এই সুযোগে ন্যানি ইলিয়াম দ্রুত জেহ্‌-কে কোলে তুলে নিয়ে অন্য ঘরে পালিয়ে যান।

সাইফ আলী বলেন, “স সময়েই আমায় আঘাত করা হয়। পিঠে, গলায় এবং হাতে ছুরি মারা হয়। গ্রিপ আলগা হলেও আততায়ী আমার হাতের নাগাল থেকে বের হতে পারেনি। কোনোমতে আমি ওকে একটি ঘরে বন্ধ করে দিই।”

গুরুতর আহত পরেই হাসপাতালে ভর্তি হন সাইভ। ফলে, হামলাকারী কীভাবে তার বাসভবন থেকে পালান সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি।

Link copied!