নিজের বিশেষত্ব নিয়ে ভালোবেসে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। কখনো প্রতিযোগিতা কিংবা পুরস্কার পাওয়াকে জীবনের শেষ কথা মনে করেননি। বলছি, দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ীর কথা। গুণী এই সংগীতশিল্পী এবার নাম লেখালেন গবেষণায়, গড়লেন অনন্য এক নজির। যুক্তরাজ্যের একাডেমিয়া ইতিহাসে এই গায়িকাই প্রথম গবেষক, যিনি রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে ডক্টরাল থিসিস লিখেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন সাহানা বাজপেয়ী।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে সাহানা লিখেন, “রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে বিলেতের একাডেমিয়ার ইতিহাসে প্রথম ডক্টরাল থিসিস (সুপারভাইজারের তথ্যানুসারে) লিখেছি এই আশায় যাতে আরও অনেক গবেষক অনুপ্রাণিত হন। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে বিদেশে কাজ করেন যাতে ভাষা-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলে রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রসংগীত আরও বেশি করে জানতে-বুঝতে চায়। এই কাজে পাশে যারা ছিলেন/ যারা ছিল তাদের/ তাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।”
এই পোস্টে থিসিসের টাইটেল পেজের একটি স্থিরচিত্রও জুড়ে দিয়েছেন সাহানা। যেখানে জানা গেছে তার থিসিসের শিরোনাম ‘রবীন্দ্রসংগীত: দ্য পলিটিক্স অব পারফরম্যান্স’।
এছাড়াও থিসিস পেপারের উৎসর্গপত্রে সাহানা লিখেছেন, “প্রিয় বাবা-মায়ের স্মৃতির প্রতি, যারা আমাকে রবীন্দ্রসংগীতের অন্তর্জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি তাদের অনুপস্থিতেও, তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও অবিচল সমর্থনকে অনুভব করে চলেছি আমি।”
যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ অব লন্ডন থেকে পিএইচডি করছেন সাহানা বাজপেয়ি। এরই অংশ হিসেবে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে ডক্টরাল থিসিস জমা দিলেন তিনি।
এর আগে আট বছর ঢাকায় ছিলেন সাহানা বাজপেয়ী। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অর্ণবকে। একসময় তাদের বিচ্ছেদ হলেও ওই সময় সাহানা বাজপেয়ীর গাওয়া কিছু গান তরুণদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় হয়।