আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী রুনা খান। মেদ ঝরিয়ে নিজের বোল্ড লুকে ফটোশুটে ভক্তদের মনে প্রায়ই ঝড় তোলেন। পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ ভেঙে তিনি এখন আরও ঝলমলে। নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনময়ী ছবি পোস্ট করে হন আলোচিত-সমালোচিত। ইদানীং বিভিন্ন ইভেন্টে আরও খোলামেলা ঝলমলে পোশাকে তার উপস্থিতি চোখে পড়ে। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট বিজলির মতো রুনার শরীরের ওপর পড়তে থাকে।
তবে সময়ের অন্যতম আলোচিত এই অভিনেত্রীকে আজকাল কাজের চেয়ে খোলামেলা পোশাকই বেশি আলোচনায় রাখছে।
সম্প্রতি ‘কোমরের বিছা’ পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় রুনাকে। অনেকের ধারণা, হয়তো ছবি পোস্ট করেই ফোকাসে থাকতে চান তিনি। ক্যারিয়ারে চলচ্চিত্র, নাটক, বিজ্ঞাপন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিটি সেক্টরেই নজর কেড়েছেন। তবে কোনো মাধ্যমেই থিতু হতে দেখা যায়নি তাকে। সবখানেই ছিল বিরতি। তা না হলে আজকের এই রুনার নামের পাশে হয়তো আরও অনেক ভালো কাজ থাকতে পারত।
রাজিবুল হোসেনের ‘বালুঘড়ি’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিনয়ের শুরু রুনা খানের। সেটি ২০০৬ সালের কথা। এর দুই বছর পর একই পরিচালকের ‘উনাদিত্য’ সিনেমাতেও কাজ করেছেন তিনি। সে সময় ‘বাথান’ নামেও একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন রুনা। পরবর্তী সময়ে ‘ছিটকিনি’, ‘হালদা’, ও ‘গহীন বালুচর’ সিনেমায় অভিনয় করেন।
লুকের দিক থেকে রুনা খান নিজেকে বদলে ফেলেছেন ঠিকই, তবে পর্দায় তার নতুন লুকের দেখা মেলেনি কোথাও।যেমন আলোচিত ‘অসময়’ ওয়েব ফিল্মে তাকে আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা গেছে। সেখানেও ছিল তার সাদামাটা উপস্থিতি। বদলে যাওয়া রুনা ক্যামেরার সামনে শাকিব খান, জায়েদ খানদের নিয়েও মন্তব্য করে থাকেন আলোচনায়। আবার গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বলেন তাকে নিয়ে সংবাদ প্রচার না করতে। কারণ এই মুহূর্তে তার হাতে কোনো কাজ নেই।
যখন কাজ থাকবে নিজেই খবর দেবেন। সাক্ষাৎকার দিতেও বেশ আপত্তি রয়েছে এই সুন্দরীর। তবে এই রুনা নিজের ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে নিজেকে যে আলোচনায় এনেছিলেন, কিংবা এখনো খোলামেলা ছবি পোস্ট করেছেন, সেভাবে পর্দায় তার দেখা মিলছে না। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে গুণী অভিনেত্রীদের একটা কদর সব সময়ই থাকে। রুনা নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ঠিকই তবে তার এই সৌন্দর্যকে পুঁজি করে এখনো তাকে নিয়ে সেভাবে নির্মাণ সামনে আসেনি। এটি নিয়ে তার কোনো মনঃকষ্ট আছে কি না, তা প্রকাশ্যে বলেননিও।