এবার ওমর সানীর বাসায় ডাকাতি, যা জানালেন অভিনেতা

চিত্রনায়ক ওমর সানীর বাসায় কয়েকদিন আগেই চুরির ঘটনা ঘটেছে। সে সময় তার বাসা থেকে নগদ টাকাসহ মোবাইল সেট চুরি হয়। যে ঘটনায় ভাটারা থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন।

এবার তার বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে ওমর সানী অভিযোগ করেছেন। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার তার বাসায় ঢুকে তিনি ডাকাতির বিষয়টি টের পান।

তার বাসা থেকে দুই কোটি টাকার প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্ট, একটি আইফোন এবং স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবি করছেন তিনি।

ওমর সানী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচ ব্লকের বাসায় থাকেন। তার স্ত্রী জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে। তাদের একমাত্র ছেলে ছেলে ফারদীন এহসান স্বাধীন থাকেন দুবাইয়ে।

বসুন্ধরার বাসায় ওমর সানীর সঙ্গে তার এক সহকারীও থাকেন। ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন। সানী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে দিয়ে বারান্দা গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা।”

ওমর সানী সে সময় বেডরুমে ঢুকে দেখেন ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। তিনি বলেন, “রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই।”

চিত্রনায়ক সানীর ভাষ্য, তার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে তার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে।

ওমর সানী বলেন, “বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল। তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া।”

ওমর সানী বলেন, “আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বার বার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম।:

সানী আরও বলেন, “আমার আইনজীবীর কাছে মামলার সব ডকুমেন্টেই আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। তবে আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব। আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”