• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘নিপুণ বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত, আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
‘নিপুণ বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত, আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি’
পীরজাদা শহীদুল হারুন- নিপুণ আক্তার । ছবি: কোলাজ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ১৯ এপ্রিল। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কাদা ছোড়াছুড়ি বাড়ছে। সামনে চলে আসছে চলচ্চিত্রের নোংরা রাজনীতি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৩ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ছিল নানান আলোচনা-সমালোচনায় ভরপুর ।

সেবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। নির্বাচনে নিপুণ আক্তার পরাজয়ের পর ‘চুমু দিতে চাওয়ার’ অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবারের নির্বাচনে সেই নিপুণের প্যানেল থেকেই নির্বাচন করছেন হারুন! তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে লড়ছেন।

হারুন বলেন, গতবার আমার বিরুদ্ধে নিপুণ যে অভিযোগ করেছিলেন সেটি কিন্তু অন্যের কথা শুনে। সে নিজের কানে শোনেননি। সুতরাং সেটি ছিল একদম ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ। এমন কোনো কথাই হয়নি। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। দীর্ঘদিনের অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজের সূত্র ধরে আমার অভিজ্ঞতা থেকে শিল্পীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব।

নিপুণ তার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিল কি না, জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, নিপুণ বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত। তিনি আমাকে বলেছে অন্যের কথা শুনে বিশ্বাস করেছিল। যখন আপনি সত্যটা প্রকাশ করবেন তখন আর পা ধরে মাফ চাইতে হয় না। আমি নিপুণকে মাফ করে দিয়েছি।

গেল নির্বাচনে একমাত্র শিল্পী ছাড়া এফডিসিতে আর কেউ প্রবেশের অনুমতি পায়নি। যার কারণে হারুনকে এফডিসিতে অবাঞ্ছিত করে সব সংগঠন। সেই বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি সমিতি এফডিসিকে ভাড়া দেয়। শিল্পী সমিতিও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বছর নির্বাচনের দিন সবার এফডিসিতে প্রবেশের অনুমতি চাইলে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি। মহামরি করোনার কারণে তখন তারা অনুমতি দেয়নি সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে। সরকার থেকেও বাধা নিষেধ ছিল। এখানে নির্বাচন কমিশনের হাত ছিল না।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণ জানিয়ে হারুন বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছি অনেক দিন ধরেই। প্রথমে ভোটার হিসেবে অংশ নেই। পরবর্তীতে ৫ বার নির্বাচন পরিচালনা করেছি। গত নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এবার প্রার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছি। জয়ের আশা নিয়েই নির্বাচনে এসেছি। তবে হেরে গেলেও ভেঙে পড়ব না। কারণ আমরা যারা খেলোয়ার জয় পরাজয় মেনে নিয়েই নির্বাচনে যেতে হয়। নির্বাচিত হলে সাধারণ সদস্যদের নিয়ে কাজ করব।

জানা গেছে, পীরজাদা হারুন মিশা-ডিপজলের প্যানেল থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এই প্যানেল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ায় তিনি নিপুণের প্যানেলে নির্বাচন করছেন।

প্রসঙ্গত , বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল। এদিন এফডিসিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মিশা-ডিপজলের বিপরীতে কলি-নিপুণ লড়ছেন।

 

 

 


 

Link copied!