১৯৫০ সালের আজকের দিনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রয়াত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর ।
বিশেষ এই দিনে নানা আয়োজনে তাকে স্মরণ করেছে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এ ছাড়া উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, সুরতাল, ভিন্নধারাসহ একাধিক সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে এই গায়কের খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে প্রিয় শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন জানানো হয়।
সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ, এ ছাড়াও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের সামরিক শাসনবিরোধী গণ-আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন গান দিয়েই। যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চিত যন্ত্রণাকে পুঁজি করে দেশীয় সংগীতের সঙ্গে পাশ্চাত্য সুরের মেলবন্ধনে তিনি ও সমসাময়িক কয়েকজন শিল্পী শুরু করেছিলেন প্রথম বাংলা পপ ধারার গান। সেই ধারার বিকাশে ফকির আলমগীরের রয়েছে বিশেষ অবদান।
ফকির আলমগীর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগদান করেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বেতার ও টেলিভিশনে নিয়মিত সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি প্রচলিত ও প্রথাসিদ্ধ গানের বন্ধ্যা ভূমিতে দেশজ ও পাশ্চাত্য সংগীতের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা গানে নতুন মাত্রা সংযোজন করেন। সংগীত ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সান্নিধ্য তাকে করে তোলে আরও প্রতিশ্রুতিশীল, গণমুখী ও জনপ্রিয়। ১৯৭৬ সালে ফকির আলমগীর গড়ে তুলে জনপ্রিয় সংগীত সংগঠন ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী। সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ফকির আলমগীর পেয়েছেন একুশে পদক। তিনি ২০২১ সালের ২৩ জুলাই মারা যান।