ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানা এখন ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’। মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পুষ্পা’ ছবিতে তার নাচ দর্শকের হৃদয়ে ঝড় তুলেছে। পুষ্পা সিনেমা মুক্তির পরপরই দক্ষিণের এই অভিনেত্রীর বিয়ের গুঞ্জন ওঠে। রশ্মিকা মন্দানার সঙ্গে সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডার প্রেমের গুঞ্জন। একসঙ্গে অবকাশযাপনে দেখা গেলেও প্রকাশ্যে এই প্রেমের কথা স্বীকার করেননি দুজনের কেউ। এ বছরেই তাদের বিয়ের কথাও ছড়িয়ে যায়। এসবের মাঝে নতুন খবর পান রশ্মিকা। সাক্ষাৎকারে প্রযোজনা সংস্থার নাম উল্লেখ না করায় তার ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছিল কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
রশ্মিকার বিরুদ্ধে প্রযোজনা সংস্থা অভিযোগ, তিনি নাকি ‘অকৃতজ্ঞ’। তাই যে প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে তার সাফল্যের শুরু হলেও তাদের নামই ভুলে গিয়েছেন অভিনেত্রী। বিতর্কের মুখে তার ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণার ডাক দেন সমালোচকদের একাংশ। প্রযোজক রক্ষিতের নাম না নেওয়ায়, তার প্রযোজনা সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করায় রশ্মিকার ওপর বেজায় চটেছেন কন্নড় অনুরাগীদের একাংশ। রশ্মিকার পরবর্তী ছবি ‘পুষ্পা ২’ এবং ‘বরিশু’ কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে নিষিদ্ধ ঘোষণার ডাক দেন তারা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, এক সাক্ষাৎকারে নিজের সাফল্যের কাহিনি শোনাতে যান রশ্মিকা মন্দনা। সেখানে যে সংস্থা থেকে তার উত্থান সেই প্রতিষ্ঠানের নাম বলেননি তিনি। তার পর থেকে তাকে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে। সিনেমা সংশ্লিষ্ট অনেকের মনে করেন, জেনেশুনেই সাক্ষাৎকারে ওই প্রযোজনা সংস্থা এবং প্রযোজকের নাম এড়িয়ে গিয়েছিলেন রশ্মিকা। তার অন্য কারণ ছিল।
জানা গেছে, যৌথ ভাবে রশ্মিকার ‘কিরিক পার্টি’ ছবিটির প্রযোজনা করেছিলেন জিএস গুপ্তা এবং রক্ষিত শেট্টি। রক্ষিত শেট্টির সেই প্রযোজনা সংস্থা ‘পরমবহ স্টুডিওর নাম না নেয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েন রশ্মিকা।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, প্রযোজক রক্ষিত শেট্টির সঙ্গে একসময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রশ্মিকা। দুজনের নাকি আংটি বদলও হয়েছিল। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তাদের বাগদান হয়। পরে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে রশ্মিকা-রক্ষিতের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আলাদা হয়ে যান রশ্মিকা-রক্ষিত। তবে পুরনো বিষয় নতুন করে সামনে আনতে চান না অভিনেত্রী। ‘কিরিক পার্টি’ ছবির পরিচালক ঋষভ শেট্টিও রশ্মিকার ওপর অসন্তুষ্ট। সম্প্রতি শেট্টির একটি সাক্ষাৎকার থেকে সেই ইঙ্গিত পেয়েছেন কেউ কেউ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার