যুক্তরাষ্ট্রে রাজকুমারের মিশন শেষে রাঙ্গামাটির সাজেকে চলছে সুপারস্টার শাকিব খানের ‘রাজকুমার’-এর শুটিং।জনপ্রিয় এই নায়ক ১৮ সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিং করেছেন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে চড়ে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফেরেন শাকিব। ফিরে এসেই আবার ছুটে গেছেন রাঙামাটির সাজেকে। বিকেল চারটায় হেলিকপ্টারে চড়ে শাকিব খান সেখানে যান। আগামী দুদিন সেখানে শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে ‘রাজকুমার’ সিনেমার কাজ শেষ হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ছবির পরিচালক হিমেল আশরাফ।
এদিকে পরিচালক তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, এর আগে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিং ঢাকা, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে। শুটিংয়ের পাশাপাশি ছবিটির সম্পাদনার কাজও চলছে।
হিমেল বলেন, ‘এমন এমন লোকেশনে, এমন এমন আয়োজনে “রাজকুমার”–এর শুটিং হয়েছে, যা কিছুদিন আগেও বাংলা সিনেমার জন্য স্বপ্ন ছিল।
শুধু নিউইয়র্কেই টানা ১৮ দিন শুটিং হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অনেক আমেরিকান পেশাদার কলাকুশলী কাজ করেছেন, সঙ্গে বাংলাদেশের টিম তো ছিলই। বাংলাদেশি চিত্রগ্রাহক শেখ রাজিবুল ইসলামের ক্যামেরায় “হোম অ্যালোন ”, “জন উইক ২”, “স্পাইডার–ম্যান”–এর মতো সিনেমার লোকেশন দেখতে পাবেন “রাজকুমার” সিনেমায়।’
হিমেল আশরাফ এ–ও লিখেছেন, ‘একটা গানের সুন্দর চিত্রায়ণের জন্য মুম্বাইয়ের আদিল শেখের মতো কোরিওগ্রাফারকে আমরা নিউইয়র্কে নিয়ে আসি, আবার তামিলের অশোক রাজার মতো কোরিওগ্রাফারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। অ্যাকশনের জন্য আমরা চলে গিয়েছিলাম চেন্নাইয়ে, তখন আমেরিকা থেকে ভারতে আনা হয়েছিল কোর্টনি কফি, খলনায়ক ও ফাইটারদের।’
গান, লোকেশন, অভিনেতা–অভিনেত্রীসহ এমন কিছু চমক আছে, যা প্রেক্ষাগৃহে এলেই চমকে দেবে সবাইকে...।’
হিমেল জানান, ‘রাজকুমার’ ছবিটি তিনি এমনভাবে বানিয়েছেন, যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের সিনেমাকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে। শেষে হিমেল লিখেছেন, ‘“প্রিয়তমা” সিনেমার ঘোষণা দিতে গিয়ে লিখেছিলাম, “প্রিয়তমা আসছে, ইতিহাস বদলে দিতে।” “প্রিয়তমা” বাংলা সিনেমার অনেক ইতিহাস নতুন করে লিখিয়েছে। আজ বলে যাই, “রাজকুমার” ছবিটি “প্রিয়তমা”কে ছাড়িয়ে যাবে, ছাড়িয়েও অনেক দূর যাবে…বাংলা সিনেমার নতুন ইতিহাস আবার নতুন করে লেখা হবে “রাজকুমার” দিয়ে।’