হিমেল আশরাফ পরিচালিত ১১ এপ্রিল (ঈদের দিন) থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১২৬ প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘রাজকুমার’। যা মোট প্রেক্ষাগৃহের অন্তত ৯০ ভাগ!
এই যখন অবস্থা, তখন খবর মিললো, ‘রাজকুমার’ এবার পাড়ি জমাচ্ছে নায়িকার দেশে। হ্যাঁ, মার্কিন মুলুকে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কানাডার প্রেক্ষাগৃহেও উঠছে রোম্যান্টিক-ড্রামা জনরার এই ছবি। খবরটি নিশ্চিত করলেন ছবিটির আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র কর্ণধার সজীব সপ্তক।
তিনি জানালেন, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ৭৫টি থিয়েটারে দেখা যাবে ছবিটি। হলের তালিকাও প্রকাশ করেছেন এই পরিবেশক। তবে তার তথ্য মতে, কিছু উল্লেখযোগ্য শহরে ছবিটি মুক্তি পেতে এক সপ্তাহ বিলম্ব হবে। যেমন লস অ্যাঞ্জেলেস, বে এরিয়া ও কানেক্টিকাট। এসব অঞ্চলে ‘সিনেমার্ক’ থিয়েটারের মাধ্যমে ছবিটি মুক্তি দেবেন তারা। সেজন্য ওই প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়া অনুসারে আগামী ২৬ এপ্রিল এসব শহরে ঢুকবে ‘রাজকুমার’।
এই ছবির গল্পের মূল অংশ যুক্তরাষ্ট্র ঘিরে। গল্পের সেই দেশেই মুক্তি পাচ্ছে ‘রাজকুমার’। বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত নায়ক শাকিব খান। বললেন, “ঈদুল ফিতরে মুক্তির পর সারাদেশের মানুষের ভালোবাসায় ধন্য হয়ে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে সুদূর আমেরিকা ও কানাডায় ‘রাজকুমার’ মুক্তি পাচ্ছে। দেশের পর এবার প্রবাসী সকল বাংলা ভাষাভাষীদের মন জয় করবে ‘রাজকুমার’, ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়বে পৃথিবীজুড়ে।”
এর আগে গত বছরের কোরবানির ঈদে মুক্তি পাওয়া একই টিমের ‘প্রিয়তমা’ আমেরিকায় মুক্তি দিয়েছিল ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’। সেটি দারুণ সাড়া পেয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা, নতুন ছবিটি সেই ধারা অব্যাহত রেখে আরও চমকপ্রদ কিছু করতে পারে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভার্সেটাইল মিডিয়া জানিয়েছে, ধাপে ধাপে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে ‘রাজকুমার’ মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যেটার শুরুটা হলো ইউএস-কানাডা মিশনের মাধ্যমে। শিগগিরই আসছে আরব আমিরাতে মুক্তির বার্তা।
উল্লেখ্য, এই ছবিতে শাকিব খান ও কোর্টনি কফির সঙ্গে আছেন মাহিয়া মাহি, তারিক আনাম খান, আরশ খান, ডাক্তার এজাজ, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।