• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরীর বাসায় রাজের নিয়মিত যাতায়াত, তবে কি...


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
পরীর বাসায় রাজের নিয়মিত যাতায়াত, তবে কি...
রাজ ও পরীমনি। ছবি : সংগৃহীত

বিচ্ছেদ হয়েছে বছরখানেক আগে। সাবেক স্বামী শরীফুল রাজকে জীবন থেকে মৃতই ঘোষণা করেছিলেন আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে রাজকে নিয়ে নানা কথা বলতে পরীমনি। এমনকি ঘোষণাও দিয়ে রেখেছিলেন আর কখনোই রাজের মুখোমুখি হবেন না, বাসায়ও ঢুকতে দেবেন না।

সেই অবস্থা এখন আর নেই। দুজনের বিচ্ছেদের পর থেকে ছেলে পুণ্য পরীমনির কাছেই বড় হচ্ছে। পরীমনির চাওয়াতে বিচ্ছেদের পর থেকে দুজনের মুখ দেখা দেখিও বন্ধ ছিল।

এত দিনে সন্তানকেও দেখার সুযোগ হয়নি রাজের। তবে সময় বদলেছে। বদলেছে দৃশ্যপট।

কিন্তু হঠাৎ করে তাদের দুজনকে ঘিরে দৃশ্যপট যেন পাল্টাচ্ছে।
জানা গেছে মাসখানেক হলো রাজ নাকি পরীর বাসায় যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানেও দুজনের দেখা হয়েছে। সন্তানকে দেখার জন্য এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার পরীমনির বাসায় গিয়েছেন রাজ। তবে কি তারা আবার এক হচ্ছেন। সে গুঞ্জনও উঠছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন পরীমনি। একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “অন্য একটি বিষয়ের জন্য সে (রাজ) বাসায় এসেছিল।”

রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত পরীমনির

পরীমনি বলেন, “বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি দেখা করতেও চাইনি। বাসায়ও আসা মানা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে আমার বাসায় এসেছিল। সেই সময় বাসা থেকে যাওয়ার আগে তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আমার বাসায় রয়ে গিয়েছিল। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিল। কাগজপত্রগুলো আমি যত্ন করেই রেখে দিয়েছিলাম। এসে নিয়ে গিয়েছে। বেশ অনেকক্ষণই ছিল। এলে তো আর বের করে দিতে পারি না।”

ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পরী বলেন, “হ্যাঁ, দেখা তো হবেই। তারও তো সন্তান পুণ্য। আমি রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি। এই আরকি।”

পরীমনি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন তো দেখলাম। রাজ পুণ্যকে কোলে নিতে চাইলে ওভাবে রাজকে বাবা হিসেবে চিনতে পারে না এখন। অথচ আগে রাজ ছাড়া পুণ্য কিছুই বুঝত না। এটি রাজের জন্য নির্মম।” এই নায়িকার মন্তব্য, “সব কথার শেষ কথা, রাজের সাফল্যেও আমার যায় আসে না, ব্যর্থতাতেও নয়। সে তো আমার জীবনে অতীত। সে এখন আমার কাছে ঘৃণার পাত্র।”

এদিকে ঘৃণা করলেও রাজকে সঠিকভাবে জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন পরীমনি। কারণ, সন্তানের বাবা হিসেবে তার কার্যকলাপের বিষয়টিও সন্তানের ওপর পড়ে। বলেন, “অনেক কিছুই তো শুনি রাজকে নিয়ে। এমন কোনো কাজ যেন বাবা হিসেবে রাজ না করে, যাতে বড় হয়ে সবার কাছে ছোট হয় সন্তান। কারণ, সন্তানের বাবা হিসেবে রাজকে তো আর অস্বীকার করতে পারব না।”

অবশ্য কথার শেষে পরী জানান, রাজের প্রতি মায়া আছে তার। কারণ, দিন শেষে তার সন্তানের বাবা তো রাজই। বলেন, “তার প্রতি আমার ঘৃণা থাকতেই পারে। তবে সে যেখানেই থাকুক, ভালো ভালো কাজ করুক, ভালো থাকুক। কারণ, সন্তানের সুন্দর জীবনের জন্য বাবাকেও ভালো থাকতে হয়।”

Link copied!