পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। আপাতত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল হয়েছে। এদিন রাত ৮টার পর পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পেতে শুরু করেন ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা। তবে বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। কবে আসবে ইন্টারনেট? এমন জিজ্ঞাসা অনেকেরই। একই জিজ্ঞাসা আলোচিত মডেল ও াভিনেত্রী পূজা চেরির। তিনি বলেন,
‘আর কতদিন এভাবে ইন্টারনেটবিহীন থাকব। কিছুই তো ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছ প্রাচীন যুগের বাসিন্দা হয়ে জীবন কাটাচ্ছি। দেশজুড়ে চলছে কারফিউ। নেই ইন্টারনেট লাইন, বন্ধ রয়েছে সকল ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে ঘরবন্দি হয়ে চরম দূর্ভোগে জীবন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অন্য আটদশজন সাধারণ মানুষের মত পূজা চেরির কাছেও কারফিউকালীন ইন্টারনেটহীন জীবন পানসে লাগছিল। ছিল উৎকণ্ঠাও।
পূজার সঙ্গে যখন যোগাযোগ করা হয় তখনও দেশে সীমিত পরিসরেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়নি। তাই যোগযোগের প্রথমেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন নায়িকা–ইন্টারনেট কবে আসবে সেটা আগে বলেন। এমন প্রশ্ন শুনেই অনুমান করা যায় নেটহীন জীবন কতটা দুর্বিসহ লাগছিল তার। পূজা বলেন, ‘২০২৪ সালে এসে এক সপ্তাহ নেট ছাড়া থাকবে এটা কেউ ভেবেছিল। আমাদের এখন তো সকল যোগাযোগ ইন্টানেট নির্ভর। সেটাই নেই। তার উপর কারফিউ কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না। ভাবুন কতটা অসহায় লাগছে।’
তাহলে সময় কাটছে কিভাবে? পূজাকে প্রশ্ন করলে বলেন, কি আর করব, টিভি দেখে সময় কাটছে। খবর দেখে দেশের পরিস্থিতি জানছি, মাঝে মাঝে পুরোনো সিনেমা দেখছি। কিন্তু টিভিও আর কত সময় দেখা যায়। বিরক্ত হয়ে পড়ছি। বইও পড়ছি। তারপরও মনে হচ্ছে কি যেনো নেই, কি যেনো নেই।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হলে গত বুধবার ফোরজি (মোবাইল ইন্টারনেট) বন্ধ করা হয়। অপারেটররা জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফোরজি বন্ধ করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। যদিও সরকার দাবি করছে, সহিংসতায় ইন্টারনেট অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই সেবা বন্ধ হয়েছে। তবে খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইন্টারনেট সেবা সীমিত হবে, স্পিড কমবে। কিন্তু কোনোভাবেই পুরো সেবা বন্ধ হবে না। কারণ, দেশের ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে বিকল্প অনেক উপায় রয়েছে।
ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ছেদ পড়ে ডিজিটাল জীবনযাত্রায়। অনলাইনভিত্তিক আর্থিক কার্যক্রম থমকে যায়। গত কয়েক দিন ধরে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষও। নেটওয়ার্ক জটিলতায় প্রিপেইড মিটারের ব্যাল্যান্স শেষ হলেও রিচার্জ করতে পারেননি এর গ্রাহকরা। ফলে অনেককেই বিদ্যুৎহীন থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দেয় পানি সংকটও। বিদ্যুৎ অফিসগুলোয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও কার্ড রিচার্জ করতে দেখা যায়।