• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চলচ্চিত্রের ব্যতিক্রমী সংলাপে সিনেপ্লেক্স বাড়ানোর দাবি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
চলচ্চিত্রের ব্যতিক্রমী সংলাপে সিনেপ্লেক্স বাড়ানোর দাবি
‘চলচ্চিত্রের চাঁদমারি : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংলাপ। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের সিনেমা পিছিয়ে পড়ার ধাপ থেকে রক্ষা পেতে অনুদানের বদলে সিনেপ্লেক্স বাড়ানো দরকার। সেই সঙ্গে চলচ্চিত্রে কাজের মান বাড়াতে সরকারসহ সব পক্ষের সহযোগিতা দরকার। তাহলেই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টেজাব) আয়োজিত ‘চলচ্চিত্রের চাঁদমারি : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক ব্যতিক্রমী এক সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা। 

সংলাপে অংশ নিয়ে জ্যেষ্ঠ অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, “সিনেমা সত্য জানার প্রশস্ত একটি পথ। সেই সিনেমা এখন ভয়াবহ দিকে রূপ নিচ্ছে। দেশের প্রেক্ষাপটে নানা প্রতিবন্ধকতা ভেবে আমরা যদি থেমে থাকি তাহলে আমাদেরই ক্ষতি। কারণ পুরো বিশ্বে সিনেমা কিন্তু থেমে নেই। বাংলাদেশে টিভি নাটক আগের তুলনায় অনেক কম। তাই বলে নাটক কি বন্ধ হয়ে গেছে?”

তারিক আনাম আরও বলেন, “এখন ইউটিউবসহ ওটিটির নানা মাধ্যম এসেছে। সঙ্গে বাজেটও বেড়েছে। সেগুলোতে শিল্পী-কলাকুশলীরা কাজের সুযোগ পাচ্ছে। এটা সত্য, সংস্কৃতি তার পথ খুঁজে নেয়। কিন্তু আমাদের কাজের মান বাড়ছে না। চলচ্চিত্রে আমরা যদি কাজের মান বাড়াতে পারি তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারব।”

প্রযোজক আব্দুল আজিজের কথায়, “সরকার প্রতিবছর বিশ কোটি টাকা সিনেমায় অনুদান দিচ্ছে। এটা বন্ধ করে তিনটি সিনেপ্লেক্স করে দেয়া উচিত। এতে ইন্ডাস্ট্রি ঠিক হবে। যেভাবে অনুদান দেয়া হয় এতে ইন্ডাস্ট্রির কোনো লাভ হয় না। পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনার নিয়মগুলো চেঞ্জ করা উচিত। এতে করে দুই দেশে বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব হবে। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাগুলো দিয়েই আমরা অতীতে দেখেছি দর্শকের ঢল নেমেছে।”

নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, “আমাদের দেশে সিনেমা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরকার। যেখানে পুরো বিশ্বের সিনেমার বড় বড় লোকদের নিয়ে ক্লাস করানো হবে। এই কাজটা খুব বেশি বড় কাজ নয়। সরকার যদি মনে করে এবং রাজনৈতিভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তাহলেই এটা সম্ভব। আর দেশে ব্যক্তিগতভাবে হলেও আমাদের কিছু স্টুডিও দরকার। যেখানে আমরা পয়সা দিয়ে হলেও কাজ করতে পারবো। এছাড়া সিনেমা সংক্রান্ত একটি সার্ভার খুবই প্রয়োজন সেখান থেকে পুরো দেশে আমরা চলচ্চিত্র পরিবেশন করতে পারবো।”

এর আগে টেজাবের সভাপতি নাজমুল আলম রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় ‘চলচ্চিত্রের চাঁদমারি: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রবন্ধ পাঠ করেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও সংবাদ প্রকাশের সিইও বিধান রিবেরু।

এ ছাড়া সংলাপে অতিথি ছিলেন, পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সিনেপ্লেক্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খালেদ আহমেদ শাম্মি, নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, রায়হান রাফী, আরিফুর রহমান (সদস্য, চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি, নির্মাতা ও প্রযোজক), তিতাস জিয়া (অভিনেতা, শিক্ষক, সদস্য, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি), মো. মনিরুজ্জামান খান (নির্বাহী প্রকৌশলী, বিএফডিসি), প্রযোজক আব্দুল আজিজ, শাহরিয়ার শাকিল প্রমুখ।

Link copied!