চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাতিল করা হয়েছে নিপুণের লন্ডনযাত্রা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মোস্তফা নূরই বাহার জানান, নিপুণ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার বিমানের ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা ছিল। ইমিগ্রেশনের সময় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা- এনএসআই আপত্তিতে তার যাত্রা করতে না দিয়ে তাকে আটক করা হয় নিপুণকে। বিমানবন্দরে নিপুণের পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার লন্ডনগামী ফ্লাইট বাতিল করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে তিনি ঢাকায় ফেরত যান।
হাসিনা সরকারের পতনের পর শোবিজে আওয়ামীপন্থী তারকারা তোপের মুখে পড়েন। ছাত্র-জনতার পক্ষে না থাকায় তাদের অনেকের বিপক্ষে জনরোষ তৈরি হয়। এমন অবস্থায় গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। তাদের মধ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারও ছিলেন।
নিপুণ আক্তার দেশে ছিলেন নাকি লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। আগেই গুঞ্জন উঠেছিল লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। তবে গত অক্টোবরের শেষ দিকে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় দেশেই আত্মগোপনে আছেন নিপুণ আক্তার। গ্রেপ্তারের ভয়ে দেশ ছাড়তে পারেননি তিনি। অবশেষ আজ তাকে আটকের খবর জানা গেল।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচিত হন এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে সমিতির নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মামলা করে চেয়ারে বসে হন বিতর্কিত। এফডিসিকেন্দ্রিক একটি শক্তির প্রকাশ করেন নিপুণ। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতা নেন তিনি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে।