মারা গেলেন নাট্যনির্মাতা-অভিনেতা তারেক মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডিরেক্টরস গিল্ডের সম্মানিত সদস্য নাট্যনির্মাতা তারেক মাহমুদ আজ রাত সাড়ে ১২টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর কমিউনিটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
তারেক মাহমুদের মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাই শোক প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন। অনেকে তার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না। অভিনেতা কচি খন্দকার লিখেছেন, ‘অদ্ভুত জীবন তারেক, তোর চলে যাওয়া মানছি না। এটা মিথ্যা হোক।’
এক ফেসবুক পোস্টে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান লিখেছেন, “আমার খুব প্রিয় মানুষ ছিল তারেক ভাই। আমার নাটকে আমার একটি প্রিয় চরিত্র করেছিলেন তিনি নাটকের নাম ‘গফুরের বিয়ে’। চরিত্রের নাম ছিল আলতা পাগলা। বাস্তবে আলতা চরিত্রটি আমার পরিবারের একজন সদস্য আমার কাকা। সবাই তাকে আলতা পাগলা বলে ডাকে।”
তারেক মাহমুদের ছায়ালোক মিডিয়া স্টেশন নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর ব্যানারে ‘চটপটি’ শিরোনামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে হাত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অর্থ-সংকটের কারণে তা থেমে ছিল বলে জানা যায়। কাজটি অসমাপ্ত রেখেই পরপারে পাড়ি জমালেন তিনি।
অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি থাকলেও নির্মাণের সাথেও জড়িত ছিলেন তারেক মাহমুদ। ‘চটপটি’ নামের একটি সিনেমা পরিচালনা নিয়ে বিশেষ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। প্রায় তিন দশক ধরে ‘পথিক’ নামে একটি লিটলম্যাগ সম্পাদনা করে আসছিলেন তারেক মাহমুদ।