বলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘সালাম-ই-ইশক’। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমার ‘বাবুজি ধীরে চলনা’ গানে পারফর্ম করেন অনিল কাপুর ও অঞ্জনা সুখানি। এতে তাদের চুম্বন দৃশ্য রয়েছে। ২২ বছরের বড় অনিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করা খুব কঠিন ছিল। সেই সময়ে তাকে সহযোগিতা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বলা যায়, সেই পরিস্থিতি থেকে অঞ্জনাকে উদ্ধার করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রায় দেড় যুগ পরে সেই চুম্বন দৃশ্যের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন অঞ্জনা।
কয়েক দিন আগে বলিউড হাঙ্গামাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অঞ্জনা সুখানি। কথার শুরুতে প্রিয়াঙ্কার প্রশংসা করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সত্যি বলছি, সে (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া) পুতুলের মতো। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সবসময়ই সহযোগিতা করেছে, বিশেষ করে শুটিংয়ের সময়ে।”
অনিল কাপুরের সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করার আগে ভীষণ চাপ বোধ করেছিলেন অঞ্জনা। ভীষণ নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন। এ তথ্য উল্লেখ করে অঞ্জনা বলেন, “আমি জানতাম, একটি গানের শুটিং করব। এটি কোনো অন্তরঙ্গ গান নয়, তবে এক ধরণের ঘনিষ্ঠতা আছে, তাও সেটা অনিল কাপুরের সঙ্গে। আমি প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী নই। এটি ছিল আমার প্রথম বড় কোনো প্ল্যাটফর্ম। তার সঙ্গে পারফর্ম করা প্রচন্ড কঠিন মনে হয়েছিল।”
শুটিং সেটে নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন অঞ্জনা। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “হঠাৎ করেই প্রিয়াঙ্কাকে বলেছিলাম, আমি খুব নার্ভাস। জানি না দৃশ্যটি কীভাবে করব। এমনকি, আমার ভেতরে সেই জিং বা আগুন আছে কিনা তাও জানি না। সে (প্রিয়াঙ্কা) বলল, ‘চিন্তা করো না, তুমি ভালো করবে আর আমি কাল দেখা করব।’ আমি জানতাম, পরের দিন তার শুটিং নেই। তাই জিজ্ঞাসা করলাম, ‘তুমি কাল আসবে?’ আর সে বলল, ‘আমি তোমার জন্য আসব, কিছু সময় থাকব।”
কথা রেখেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অঞ্জনার জন্য শুটিং সেটে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন তিনি। এ তথ্য উল্লেখ করে অঞ্জনা বলেন, “সে অসাধারণ একটি মেয়ে। সে এসেছিল, মনে হয় কয়েক ঘণ্টা ছিল; যতক্ষণ না আমরা গানটির কাজ বন্ধ করা হয়। তারপর যখন আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, তখন সে বলেছিল, ‘তুমি এটা করতে পারবে, আমি এখন যেতে পারি।’ এদিক থেকে সে অসাধারণ।”
‘সালাম-ই-ইশক’ সিনেমায় কামিনি চরিত্রে অভিনয় করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ন করেন— গোবিন্দ, জুহি চাওলা, সালমান খান, আয়েশা টাকিয়া, জন আব্রাহাম, বিদ্যা বালান, প্রেম চোপড়া প্রমুখ।