বলিউড মাতিয়ে হলিউডে কাজ করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া। চরিত্রের প্রয়োজনে ছবিতে অসংখ্য অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। আমেরিকান পপ তারকা নিক জোনাসকে বিয়ে করে লস এঞ্জেলেসে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। শুধু তাই নয়, তিনি আর ভারতে ফিরবেন কিনা- এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি প্রিয়াঙ্কা আর হিন্দি সিনেমা কাজ করবেন না বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কার প্রযোজনা সংস্থার কার্যক্রম ভারত থেকে গুটিয়ে নিয়েছে।
কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মা মধু চোপড়া জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মূল কার্যক্রম মুম্বাই থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এবার প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে আমেরিকা থেকে। এমন কেনো করলেন প্রিয়াঙ্কা- সবার মনে এই প্রশ্নের উদয় হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘আবারও বলিউডের হিন্দি সিনেমায় কাজ করতে চাই। আমি এখানে অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে দেখা করেছি, চিত্রনাট্য পড়েছি। আমি সত্যিই হিন্দি ছবিতে কাজ করতে চাইছি’।
এই নায়িকা সিটাডেলের শুটিংয়ে এত দিন ব্যস্ত ছিলেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, সেই কাজ শেষ হয়েছে, এখন তার বিরতির পালা। মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। প্রিয়াঙ্কা তার মেয়ে মালতীকে ভারতীয় সব ধরনের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করেছেন। এমনটা দেখে তার ভারতীয় অনুরাগীরাও দারুণ খুশি।
এদিকে তার মা মধু চোপড়া শোনালেন অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, ফলে এখন আমরা আর কোনো ভারতীয় সিনেমা প্রযোজনা করব না। কিন্তু ঈশ্বর চাইলে প্রিয়াঙ্কা যদি ভারতে আবার সিনেমা করতে আসে, তখন আমরা আবার ভেবে দেখব’।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ারর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ভেন্টিলেটর’, ‘পানি’র মতো পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমার জন্য কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে মধু জানিয়েছেন, যখন প্রিয়াঙ্কা হলিউডে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তখন তার মা-ই পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতে কোনো একটা কিছু রেখে যাওয়ার। কারণ তার মনে হয়েছিল, অভিনয় জীবনের চূড়ান্ত পর্যায়ে মেয়ে সব ছেড়ে হলিউডে যেতে চাইছে। নতুন করে লড়াই শুরু হবে। যাতে সমস্যা হলে দেশে ফিরে আসার মতো একটা অবলম্বন থাকে, সে জন্যই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সূচনা।
মধুর চোপড়া আরও বলেন, ‘আমরা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুরু করেছিলাম “প্ল্যান বি” হিসেবে। আঞ্চলিক সিনেমার জন্য কাজ করে আমাদের প্রতিষ্ঠান। নতুন পরিচালক, অভিনেতাদের সাহায্য করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য’।