লায়লার করা মামলা শুনানি শেষে আদালত ১ হাজার টাকা মুচলেকায় প্রিন্স মামুন জামিনের আদেশ দেন। মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন প্রিন্স মামুন।
গত ১১ ডিসেম্বর রাতে মামুন মদ পান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর শুরু করেন লায়লাকে। চালান হত্যার চেষ্টাও। তাই সে রাতের পরদিনই ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আখতার ফরহাদ মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরদিনই রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন দেশের পরিচিত মুখ টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রসঙ্গে উঠে এসেছে লায়লার নাম। সেইসঙ্গে বিভীষিকাময় এক রাতের কাহিনি।
লায়লা আখতার ফরহাদের করা মারধর, হত্যাচেষ্টা মামলার প্রেক্ষিতে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সোমবার (৩ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রিন্স মামুন নিজেই। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টির পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে মামলার কথাও জানান তিনি।
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধি ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়। মামলার নম্বর ০৫(১২)২০২৩। এর প্রেক্ষিতেই আদালত প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রিন্স মামুন বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে মাঝরাতে লায়লার সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। সেখানে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল। বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমি আইনিভাবে এটি মোকাবিলা করব।’
মামুন আরও বলেন, ‘যিনি মামলা করেছেন তিনি মামলা তুলে নেবেন বলেছিলেন। তাই আমি হাজিরা দেইনি। মামলায় হাজিরা না দেয়ার কারণেই মূলত আমার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
কিন্তু প্রিন্স মামুন আর লায়লার সম্পর্ক কেন আদালত পর্যন্ত পৌঁছালো, নেট দুনিয়ায় চলছে সে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক। মূলত মামুনের অনৈতিক কাজের কারণেই লায়লা আদালতে তার নামে মামলা ঠুকেছেন- এমন মন্তব্য নেটিজেনদের।
লায়লা আর মামুনের সম্পর্কের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রায় তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের। এরপর প্রেম থেকে সম্পর্ক গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত।
দুই পরিবারের সম্মতিতে মামুনের সঙ্গে তাদের বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। আর এরপর থেকেই মামুন লায়লার সঙ্গে বারিধারার ডিওএইচএসের বাসায় থাকতে শুরু করেন। তারপরই শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়ন।
প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লায়লার থেকে টাকা নেয়া, মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় প্রবেশ করা, অশ্লীল ভাষায় কথা বলা এমনকি লায়লাকে মারধর করা প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায় মামুনের।