মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) কলকাতার টেলি একাডেমি পুরস্কারের মঞ্চ থেকে এই সম্মাননা দেওয়া হয় ঐন্দ্রিলাকে। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। এদিন অনুষ্ঠানে মোট ৬৬ জনকে সম্মান জানানো হয়েছে। অন্য সব পুরস্কারের পাশাপাশি আজীবন এবং মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হয় গুণী শিল্পীদের।
ঐন্দ্রিলা শর্মা ও সব্যসাচী চৌধুরীর সম্পর্কটা এখনো যেন আশার পথ দেখায় অনেক মন ভাঙা তরুণ-তরুণীকে। যেভাবে প্রেমিকাকে আগলে রেখেছিলেন সব্যসাচী, তা আজও ভুলতে পারেননি কেউ। সেই একই মঞ্চ থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে সব্যসাচীকেও।
অসাধারণ অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। এর সঙ্গে তার মিষ্টি হাসির দিওয়ানা ছিলেন অনুরাগীরা। পুরো বাংলার কাছে ‘ফাইটার’ হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। শৈশব থেকেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন অভিনেত্রী। সেই লড়াই জিতেও ফিরেছিলেন তিনি। এরপরেই শুরু হয় গ্ল্যামার দুনিয়ার যাত্রা। তবে দীর্ঘ যুদ্ধের পর গত বছর ২০ নভেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা।
ঐন্দ্রিলা শর্মার এই বিশেষ সম্মাননা পাওয়া প্রসঙ্গে সব্যসাচী জানান, ‘২৫ বছর হওয়ার আগেই চলে গেল। সেই সময়ের মধ্যেও যে কাজ করেছে তাতে মানুষ ওকে মনে রেখেছে। এটাই বড় প্রাপ্তি। আজ ওর মা-বাবা এসেছেন। তাদের জন্য এই মুহূর্তটা যতটা গর্বের, ঠিক ততটাই কষ্টের।