ভারতের দক্ষিণী সিনেমার ‘পাওয়ার স্টার’খ্যাত অভিনেতা পবন কল্যাণ। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় তিনি। জন সেনা দলের প্রধান এই অভিনেতা। তার আরেক পরিচয় তিনি দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা চিরঞ্জীবীর ছোট ভাই, রাম চরণের চাচা।
অধিকাংশ মানুষই তার জীবনের কোনো না কোনো বয়সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আর এই হতাশা থেকে কেউ কেউ আত্মহত্যার চেষ্টাও করে থাকেন। পবন কল্যাণও ব্যক্তিগত জীবনে এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা ‘আনস্টপেবল উইথ এনবিকে’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন। সম্প্রতি এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে কৈশোর বয়সের ‘ভুল’ চিন্তার কথা শেয়ার করেন পবন কল্যাণ।
অতীত স্মরণ করে পবন কল্যাণ বলেন, “আমার হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, মাঝে মাঝে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হতো। যার জন্য আমি অতটা সামাজিক মানুষ ছিলাম না। আমার বয়স যখন ১৭ বছর, তখন পরীক্ষার চাপ আমাকে হতাশাগ্রস্ত করে ফেলে। আমার মনে আছে, আমার বড় ভাই (চিরঞ্জীবী) যখন বাড়িতে থাকতেন না, তখন তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু আমার আরেক বড় ভাই নাগা বাবু ও ভাবি সুরেখা (চিরঞ্জীবীর স্ত্রী) সে যাত্রায় আমাকে বাঁচান।”
এ ঘটনার পর চিরঞ্জীবী তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। তা উল্লেখ করে পবন কল্যাণ বলেন, “আমার ভাই (চিরঞ্জীবী) বলেছিলেন, ‘নিজের জন্য বাঁচো। তুমি যদি কিছুই নাও করো তাতেও কিছু যায় আসে না! কিন্তু প্লিজ বাঁচো।’ তারপর আমার ভাবনা বদলে যায়। আমি বই পড়তে শুরু করি, গান, মার্শাল আর্টে ডুবে যাই।”
অন্যদের উপদেশ দিয়ে পবন কল্যাণ বলেন, “অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিজের সঙ্গে করুন। জ্ঞান ও সফলতা কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আসে।”