বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। একের পর এক বিপদ যেন লেগেই আছে তার জীবনে। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হত্যা মামলা এখনো পিছু ছাড়েনি। যার জেরে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই তাকে প্রায় প্রতি দিন খুনের হুমকি দিচ্ছেন। এবার নতুন সমস্যা, ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এ রবীন্দ্রসংগীত ‘একলা চলো’ গানটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ।
জানা গেছে, এই শোয়ের সঙ্গে সালমানের প্রযোজনা সংস্থা জড়িত, এমনই দাবি বঙ্গবাসী মহাসভা ফাউন্ডেশনের। সেই মর্মে তারা আইনি নোটিশও পাঠান অভিনেতাকে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ‘ভাইজান’-এর তরফ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিনি বা তার প্রযোজনা সংস্থা আর শো-টির সঙ্গে যুক্ত নন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বলিউডে আন্তর্জাতিক মানের বাঙালি কবি অপমানিত। কপিল শর্মার সাম্প্রতিক শো দেখে প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কবি শ্রীজাত। তার অভিযোগ, কপিলের একটি শোতে অভিনেত্রী কাজল এসেছিলেন। তিনি বঙ্গসন্তান। তাকে সামনে পেয়ে শোয়ের অন্যতম কৌতুকাভিনেতা ক্রুষ্ণা অভিষেক কবিগুরুর ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানটির অপব্যাখ্যা করেছেন। তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন পরিচালক-সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগপ্তসহ বাংলার বহু খ্যাতনামা।
এর বেশ কিছুদিন পর এই খবরে নতুন করে নড়ে বসেছে বলিউড এবং বাংলা সংস্কৃতি দুনিয়া। নোটিশ পাঠানো হয়েছে সালমানকে। সেই নোটিশে বলা হয়েছিল, কপিল শর্মা শোয়ের প্রযোজক তারই প্রযোজনা সংস্থা। সেই দাবি নস্যাৎ করে অভিনেতার তরফে জানানো হয়, সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে এই আইনি পদক্ষেপ। সালমান এই শোটি আর প্রযোজনা করেন না। ফলে কোনো আইনি নোটিশ তাকে প্রভাবিত করতে পারবে না।
শ্রীজাত সেই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেই এ পোস্ট লিখছি, এটিও জানিয়ে গেলাম। আজ থেকে এক সপ্তাহ, অর্থাৎ ৭ নভেম্বরের মধ্যে আমার দাবিগুলো গৃহীত, বিবেচিত এবং পূর্ণ না হলে আমি আইনের পথে হাঁটব।
তা হলে কি কোনোভাবে এটি তারই করা আইনি পদক্ষেপের ফল? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল শ্রীজাতের সঙ্গে। কবির কথায়, আমি বা আমরা কোনো আইনি পদক্ষেপ নিইনি।