২০১৯-এর পুলওয়ামা আক্রমণ আজও ভারতীয়দের কাছে দগদগে ক্ষত। ৪০ জন তাজা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। পাল্টা আক্রমণ ভারতও করেছিল। বায়ুসেনা অভিনন্দন বর্তমানের নেতৃত্বে। সেই ঘটনা সিদ্ধার্থ আনন্দের ছবি ফাইটার এর পটভূমিকায়। সম্প্রতি ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে।
সেখানে হৃতিক রোশনের মুখে প্রতিবেশি দেশের উদ্দ্যেশ্যে হুমকি, আইওএ বানিয়ে দেব! খবর, এই সংলাপ শুনেই নাকি প্রচণ্ড বিরক্ত পাকিস্তানের বিনোদন দুনিয়া। সেখানকার একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ক্ষোভ জানিয়েছেন পরিচালকের বিরুদ্ধে। দাবি, ছবির মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে।
তাদের বক্তব্য কী? সে দেশের প্রথম সারির নায়িকা জারা নূর আব্বাস জানিয়েছেন, হৃতিকের মুখের সংলাপ, কাশ্মীর ভারতের অধীনস্থ রাজ্য। পাকিস্তান জোর করে কিছু অংশ দখল করে রেখেছে। এই বক্তব্য শুনে তার প্রচণ্ড হাসি পেয়েছে। তার প্রশ্ন, কেউ কি কাশ্মীরিদের থেকে জানতে চেয়েছে, ওরা কী চান? ওরা স্বাধীন রাজ্য চান। ভারতকে এই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
জারার স্বামী আসাদ সিদ্দিকীও অভিনেতা। তার ব্যঙ্গ, আর কতদিন এই বস্তাপচা অনুভূতি বিক্রি করবে ভারত? বিশ্ব এগোচ্ছে। আধুনিক হচ্ছে। ভারত এখনও মান্ধাতা আমলের ধ্যান ধারণা আকড়ে চলছে।
এতে হিংসা বাড়ছে বই কমছে না। তার প্রশ্ন, বিশ্বজুড়ে হিংসা এমনিতেই। ছবির মাধ্যমে তাকে ছড়ানোর খুব প্রয়োজন? একই ভাবে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আদনান সিদ্দিকী। প্রথম সারির অভিনেতার আফসোস, একটা সময় বলিউড ভালবাসার গল্প বলার জন্য বিখ্যাত ছিল। পাকিস্তান বলিউডের ছবি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকত। এখন পুরো উল্টো।
ভারত ভালবাসার বদলে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। অনুযোগের আঙুল তুলেছেন আরও এক জনপ্রিয় নায়িকা হানিয়া আমির। তার ক্ষোভ, বলিউড পাকিস্তানকে খলনায়ক বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে। কোথায় দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা পাঠানো হবে তা নয়, সেই দেশের অভিনেতার দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব তৈরিতে ব্যস্ত।